নিউ জিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আলোচনায় ছিল বৃষ্টি। বৃষ্টি থামার পর হ্যাটট্রিক করে আলোচনায় আসেন মহেশ থেকশানা। কিন্তু শেষটা রাঙায় নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১১৩ রানের ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে কিউইরা।
হ্যামিল্টনে নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৫ রান করে। জবাবে ৩০.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আরও একটি হারকে সঙ্গী করলো লঙ্কানরা।
রান তাড়া করতে নেমে ২২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা। ৬ রানের মাথায় পাথুম নিসাঙ্কা ফিরেন ১ রানে। ১৮ রানের সময় কামিন্দু মেন্ডিস আউট হন ২ রান করে। একই রানে আভিশকা ফার্নান্দো আউট হন ১০ করে। আর ২২ রানের মাথায় অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।
এরপর কামিন্দু মেন্ডিস ও জানিথ লিয়ানাগে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেন। কিন্তু ৭৯ রানের মাথায় লিয়ানাগে ব্যক্তিগত ২২ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর চামিন্দু বিক্রমাসিংহেকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালানোর চেষ্টা করেন কামিন্দু। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে ৪৭ রান যোগ করেন। ১২৬ রানের মাথায় চামিন্দু ফিরলে ভাঙে এই জুটিও। তিনি ২ চারে ১৭ রান করেন।
সেখান থেকে ১৪২ রানে যেতেই অলআউট হয় লঙ্কানরা। ১২৯ রানে হাসারাঙ্গা (১), ১৩১ রানে কামিন্দুও আউট হন। তার ব্যাট থেকে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে। ১৩৬ রানের মাথায় ইশান মালিঙ্গা (৪) ও ১৪২ রানের সময় শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন থেকশানা (৬)।
বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের উইল ও;রুরকে ৬.২ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। জ্যাকব ডাফি ৫ ওভারে ১ মেডেনসহ ৩০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া ম্যাট হেনরি, নাথান স্মিথ ও স্যান্টনার নেন ১টি করে উইকেট।
৭৯ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র।
তার আগে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানে উইল ইয়াংয়ের উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন তিনি ব্যক্তিগত ১৬ রানে। সেখান থেকে রাচিন রবীন্দ্র ও মার্ক চ্যাপম্যান ১১২ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। ইঙ্গিত দেন ৩৭ ওভারেই বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করানোর। কিন্তু ১৪৩ রানের মাথায় চ্যাপম্যানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন থেকশানা। চ্যাপম্যান ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন।
১৬৮ রানের সময় ফিরেন রাচিনও। তিনি ৯টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন। নতুন ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম অবশ্য ১ রান করেই ফিরেন সাজঘরে। নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ১৭০। সেখান থেকে ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের ব্যাটে ২৫৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। ফিলিপস ১ চার ও ১ ছক্কায় ২২ রান ও স্যান্টনার ২ চার ১ ছক্কায় করেন ২০ রান। আর ড্যারিল মিচেল করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার থেকশানা ৮ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে হ্যাটট্রিকসহ ৪টি উইকেট তুলে নেন। ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে তিনি আউট করেন মিচেল স্যান্টনারকে। ষষ্ঠ বলে ফেরান নাথান স্মিথকে। এরপর ৩৭তম ওভারে এসে প্রথম বলেই ম্যাট হেনরিকে আউট করে নতুন বছরের প্রথম হ্যাটট্রিক তুলে নেন। হাসারাঙ্গা ৮ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো ও ইশান মালিঙ্গা।