হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটা হেরে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ছিলেন বিমর্ষ। কোমড়ে আঘাত পেয়ে শেষ ওভারের আগে মাঠ ছেড়ে উঠে যান। এ কারণে শেষটায় মাঠে থাকতে পারেননি।
শেষ ওভারে ২৬ রান হাতে রেখেও ম্যাচটা হারতে হেয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী রংপুর রাইডার্সের কাছে। দলের হারটা তাই মেনে নিতেও পারছিলেন না তামিম। সতীর্থ কাইল মায়ার্স, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গেও তামিমকে উত্তপ্ত হয়ে কথা বলতে দেখা যায়।
এমন হতাশার মুহূর্তে তামিমকে আরো ‘ক্ষেপিয়ে তোলেন’ রংপুর রাইডার্সের ক্রিকেটার অ্যালেক্স হেলস।
করমর্দনের সময় তামিমকে কিছু একটা বলে মুখভঙ্গি করেছিলেন হেলস। যা একদমই পছন্দ হয়নি তামিমের। তার উপর চটে তামিম তেড়ে যান। ওই মুহূর্তে দুজনের মাঝে এসে তাদের আলাদা করেন রংপুরের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম। তামিমকে সরিয়ে নিলেও পারছিলেন না। বারবার হেলসের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে সোহান এসে পরিস্থিতি সামলেন নেন। ওদিকে হেলস তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। তাকে আগলে রাখছিলেন রংপুরের মাহেদী হাসান, সাইফ হাসানরা।
উত্তেজনাময় ম্যাচের পর এরকম উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই দলের শিবিরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে আলাদা করে কেউই কথা বলেননি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল দুই দলের প্রতিনিধির কাছে। কেউই মুখ ফুটে কিছু বলেননি।
বরিশালের ব্যাটিং কোচ ও তামিমের বড় ভাই সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘‘আমিও নিশ্চিত নই, যেহেতু এটা নিয়ে আলাপ হয়নি। উত্তেজিত হয়েছে (তামিম), এটা দেখেছি। সাধারণত কী হয়, ম্যাচ হারার পর, বিশেষ করে এই ধরনের ম্যাচে, ইমোশন অনেক ক্যারি করে। আশা করি, সিরিয়াস কোনো কিছু না। নিশ্চয়ই কিছু একটা বলা হয়েছিল (অপর পক্ষ থেকে), যেটির প্রতিক্রিয়া ছিল (তামিমের উত্তেজিত হওয়া)। তবে আমার মনে হয়, তেমন সিরিয়াস কিছু নয়।”
রংপুরের অধিনায়ক ও শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে ম্যাচের নায়ক হওয়া সোহান বলেছেন,“এটা আমি খুব কাছ থেকে দেখিনি। আমিও এদিকে আসার পর দেখেছি। যাওয়ার পর হয়তো বুঝতে পারব, কী হয়েছে। তবে আমি ছিলাম না ওখানে।”