প্রথমে ব্যাট হাতে ২৯ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেললেন। এরপর বল হাতে ২ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নিলেন। রায়ার্ন বার্লের এমন অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ভর করে পঞ্চম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল রাজশাহী। অন্যদিকে টানা দুই জয় তুলে নেওয়া খুলনা টাইগার্স পেল প্রথম পরাজয়ের স্বাদ।
আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি, ২০২৫) বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৮ রান করে। জবাবে রাজশাহীর নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও দারুণ ফিল্ডিংয়ে ১৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানে থামে খুলনা। ২৮ রানের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী।
রাজশাহীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় খুলনা। তাদের কেউ উল্লেখযোগ্যভাবে হাল ধরতে পারেননি। তাতে টানা তৃতীয় জয়ও তুলে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ব্যাট হাতে খুলনা আফিফ হোসেন ধ্রুব ৩ চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন। তাও ৩০ বলে! মোহাম্মদ নাঈম শেখ ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে করেন ২৪ রান। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১৮, নাসুম আহমেদ ১৮ ও ইমরুল কায়েস করেন ১৭ রান।
বল হাতে রাজশাহীর বার্ল ২ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২টি, তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২টি ও সোহাগ গাজী ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ম্যাচসেরা হন রাজশাহীর বার্ল।
তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ হারিস ও জিসান আলম ৪৪ রান তোলেন ৩২ বলে। এরপর দ্রুত চারটি উইকেট হারায় রাজশাহী। ৪৪ রানে হারিস, ৫৪ রানে এনামুল হক, ৬১ রানে এসএম মেহেরব ও ৬৭ রানে জিশান আলম ফিরেন সাজঘরে।
হারিস ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করে নাসুমের বলে বোল্ড হন। এনামুল ৭ রান করে ফিরেন নাসুমের শিকার হয়েই। মেহেরব ৫ রান করে আউট হন মিরাজের বলে। ৩ চারে ২৩ রান করা জিশানকে ফেরান মোহাম্মদ নাওয়াজ।
এরপর ইয়াসির ও বার্ল দলের হাল ধরেন। পঞ্চম উইকেটে তারা দুজন দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৮৮ রান মাত্র ৫১ বলে। ১৫৫ রানের মাথায় ইয়াসিরকে ফিরিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন আবু হায়দার রনি। ২৫ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলে যান ইয়াসির।
তবে বার্লকে আউট করা যায়নি। তিনি ২৯ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। তার সঙ্গে মাত্র ৯ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ১৭৮ পর্যন্ত নিয়ে যান আকবর আলী।
খুলনার নাসুম ৩ ওভারে ২০ রান নিয়ে ২টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ নাওয়াজ ৩ ওভারে ২৭, মিরাজ ৩ ওভারে ২৬ ও আবু হায়দার ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন। সালমান ইরশাদ ৪ ওভারে ৩৮ ও হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।