খেলাধুলা

নিষিদ্ধই থাকছেন ‘বোলার’ সাকিব

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয়বার বোলিং পরীক্ষা দিয়ে উতরাতে না পারায় তার এই নিষেধাজ্ঞা বলবত রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। 

আইসিসির বিধি অনুযায়ী ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী গত মাসের ১৫ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিসিবি। ডিসেম্বরের শেষে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিয়ে ব্যর্থ হন সাকিব। 

তারই ফলস্বরূপ শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার কথা জানায় বিসিবি। বোলিং পরীক্ষায় পাশ করেই পুনরায় বল হাতে নিতে পারবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে ব্যাটার হিসেবে খেলতে বাধা নেই তার। 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিংয়ে বাধা থাকলেও বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করতে বাধা নেই তার।

গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে সারের হয়ে এক ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। সে ম্যাচে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন মাঠের আম্পায়াররা। এরপর ইংল্যান্ডের লাউবরো ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি।   

আইসিসির ১১.৩ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে বিসিবি জানায়, “আইসিসির অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নীতিমালার ১১.৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, যখন কোনো ক্রিকেট বোর্ড কোনো বোলারকে নিষিদ্ধ করে, তখন সেই শাস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও অন্যান্য সব দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় কার্যকর হয়ে যায়।”    “ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের অন্যান্য সব দেশের ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকবে সাকিবের বোলিং। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করতে বাধা নেই তার। আইসিসির অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নীতিমালার ১১.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইসিসি অনুমোদিত কোনো পরীক্ষাগারে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে সাকিবকে। ওই পরীক্ষায় উৎরাতে পারলেই মিলবে বোলিংয়ের অনুমতি।”  

বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়ায় আপাতত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিবের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তৃতীয়বার পরীক্ষা কখন দেবেন এটাও অজানা। ইসিবির সঙ্গে আলোচনা করে আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন তিনি।