আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দল পাঠানোর শেষ দিন আজ। হাইব্রিড মডেলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য দুপুরে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দল ঘোষণা করবেন।
এখন পর্যন্ত যা খবর, সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই নির্বাচকরা দল ঘোষণা করতে যাচ্ছেন নির্বাচকরা। সাকিবের না থাকার কারণ দুইটি। এক, সরকারের থেকে পাওয়া যায়নি সবুজ সংকেত। দুই, ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে দেশের মাটি থেকে টেস্ট ক্রিকেট ছাড়তে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তার সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। সাকিবকে ঘরের মাঠে খেলতে দেওয়ার ব্যাপারে এখনো সরকারি পর্যায় থেকে কোনো সবুজসংকেত নেই। এবার দেশের বাইরে তাকে খেলাতেও সাড়া মেলেনি। ফলে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ ধরে নেওয়া যায়।
ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে সব ধরনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে শুধুমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিবকে নেওয়া যেত। কিন্তু ব্যাটসম্যান সাকিবকে খেলানোর পক্ষে নন নির্বাচকরা। সাকিব নিজেও সেই অবস্থায় নেই। এ কারণে আরেকটি আইসিসি ইভেন্টে সাকিবের অংশগ্রহণ করার যে স্বপ্ন ছিল তা শেষ হয়ে গেল।
তবে আশা যে একেবারে শেষ হয়ে গেছে বিষয়টি তেমনও নয়। ঘোষিত দল কোনো কারণ ব্যাখ্যা ছাড়াই ১২ ফেব্রুয়ারির ভেতরে পরিবর্তন করবে পারবে বোর্ড। সেক্ষেত্রে সাকিবকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আসতে হবে। সঙ্গে সরকারের থেকেও পেতে হবে সবুজ সংকেত।
তৃতীয়বার সাকিবকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে। ইংলিশ কাউন্টিতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপর দুইবার পরীক্ষা দিয়েছেন আইসিসির অনুমোদিত বোলিং কেন্দ্রে। দুইবারই তার ফল নেতিবাচক আসে। ২ ডিসেম্বর প্রথমবার বার্মিংহামের অদূরে লাফবরো ইউনিভার্সিটির মেডিকেল বিভাগে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন বাঁহাতি স্পিনার। ৮ দিন পর পাওয়া ফলে আশাহত হন সাকিব। পরবর্তীতে গত ২১ ডিসেম্বর ভারতের চেন্নাইয়ের শ্রী রামাচান্দ্রান সেন্টার ফর স্পোর্টস সায়েন্সে আবার পরীক্ষা দেন। কয়েকদিন আগেই জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় পাস করতে ব্যর্থ সাকিব।
এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কারা থাকবেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে নিশ্চিতভাবেই কয়েকটি নাম কাটা পড়তে যাচ্ছে। দলে ফিরতেও যাচ্ছেন একাধিক ক্রিকেটার।
মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয় স্কোয়াডে ফিরবেন। আফিফ হোসেনের থাকার কোনো সম্ভাবনাই নেই। বাদ পড়তে পারেন পারভেজ হোসেন ইমন। লিটন দাসকে নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও তাকে শেষ পর্যন্ত দলে রাখতে পারেন নির্বাচকরা। আবার বাদ পড়লেও অবাক হওয়ার থাকবে না।
এছাড়া পেসারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও মোস্তাফিজের জায়গা নিশ্চিত। তীব্র লড়াই হবে তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামের। তাদের মধ্যে যেকোনো একজনেরই সুযোগ হবে স্কোয়াডে। কেননা স্পিনে মিরাজ ও নাসুমের সঙ্গে রিশাদকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
স্কোয়াড যেমন হতে পারে: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব।