মাস সাতেক আগেই ফুটবল দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন ১৬ বছরের এক ছেলে। যে বয়সে কিশোররা সদ্য বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করে প্রাণ খুলে, সে সময়টিতে কি না লামিন ইয়ামাল স্পেনকে এনে দিলো মহাদেশীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব। রাইট উংই থেকে তার বাঁ পায়ের ফুটবল শৈলীতে আচ্ছন্ন ছিল ফুটবল প্রেমীরা। এবার সেই মুগ্ধতায় তার ক্লাব সতীর্থ গাভি এতটাই মঝেছেন যে, ইয়ামালকে এই মুহুর্তের সেরা ফুটবলার বললেন! তবে তার আগের স্থানটা নাকি মেসির।
ইয়ামাল তার ফর্ম ধরে রেখেছেন ক্লাব বার্সালোনাতেও। গত রোববার (১২ জানুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে এক গোল করেছেন ১৭ ইয়ামাল। এরপর বুধবার রাতে (১৫ জানুয়ারি, ২০২৫) কোপা দেল রে’র ম্যাচে আরেক রিয়াল ক্লাব বেটিস কে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সা। এই ম্যাচে সমান একটি করে গোল ও অ্যাসিস্টের দেখা পেয়েছেন ১৭ বছ র বয়সী এই উইঙ্গার। সব মিলিয়ে এই মৌসুমে ৯ গোল ও ১৩ অ্যাসিস্ট। তার ক্লাব সতীর্থ গাভির তাই সরল স্বীকারোক্তি, “হ্যাঁ, ইয়ামাল সেরা। লিওনেল মেসির পর, সে সেরা।”
ইয়ামাল গত জুনে ইউরো কাপে স্পেনকে সেরা বানানোর পথে ৭ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১ গোল ও মহামূল্যবান ৪ অ্যাসিস্ট। পেয়েছিলেন গোল্ডেন বয় অ্যাওয়ার্ড যা তাকে এনি দিয়েছিল বিশ্বের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি।
এই মুহূর্তে ইয়ামালই সেরা, গাভির এমন মন্তব্যের সাথে সুর মিলিয়েছে বার্সার ম্যানেজারও। হানসি ফ্লিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “গাভি খুবই আবেগপ্রবণ, তবে আমিও একমত তার সাথে। আমি মনে করি বড় ম্যাচগুলোই সত্যিকারের প্রতিভার ঝলক দেখা যায়। সে (ইয়ামাল) তা বহুবার প্রমাণ করেছে। সে খুব ভালো পথে।”