দীর্ঘকবিতা
ছাইয়ের মুকুট
জোনাকির অন্ধকার পল্লবে
গলে কি মরুভূমি-মন?
পৃথিবীতে পদ্য-প্যারাগ্রাফ লিখে
কেউ দিতে পারবে না এর
গীতি-উত্তর।
শুধু দাউদাউ হ্রদ জ্বলে;
শীতল মশাল।
আর সব সংগীতের ধ্রুপদ
দল বেঁধে পাড়ি জমায়
বলির বাজনায়।
প্রেম যাদের অনুপায়
প্রধান প্রতীক
তারাই তো সওদাগর;
ঘৃণার ফল্গুর।
রাতের রঙ আর ভোরের ভাষা
এক হয়েও উদ্ধার-অক্ষম
ফুলের ভেতর ঘনীভূত
তোমার গন্ধ।
বিপ্লবকে ভোঁতা করে
বেছে নিয়েছিল যারা
নরকের নেকলেস
তারাই বাড়ায় আজ
অভিধানের আয়তন;
জান্নাত-বাগান।
তারসপ্তক, আশ্চর্য অষ্টম ফুরোয়
ফুরোয় না নয়-ছয় মানুষজীবন।
অধিকৃত উরুর অঞ্চল থেকে
কতদূর গেলে মধুবাতাঋতায়াত,
তার নিকেশ-হিসেবে
মেঘও মলিন, রিক্ত রোদ।
তারপর অভিযান অসমাপ্ত রেখে
মনের মাইনকে তাক করা;
দেহদূর্গের দুর্নিবার দখল।
চাঁদ গিয়ে টিকে থাকে চাঁদমারি
খেলা চলে সহস্র-শতাব্দী
খেলাঘরের গোপনে যে
নাঙা নিকেতন,
তারই সহোদরা শাস্ত্রশালায়
ক্ষয়ে আসা ধ্যানদল
বসে থাকা মরচে পড়া
প্রহর-বেলায়
আকোকিত অলীকের
অমাদীপ্ত আশায় আশায়।
আবহাওয়া অনুকূল তবু
সে দপ করে নিভে আসে
মোমবাতি তার গলমান
আয়ুর আত্মায় ধরে রাখে
প্রজ্জ্বলনের প্রজ্ঞাবীজ টানটান।
নিঠুর মাধবী,
হৃদয়ের রীতি কোন দেশে কী
সে তপ্ততর্ক, মীমাংসা-মধুরেও
মালিনী বুঝে না
মেরা দিল কি জখম।
নদীর পানি মিঠে
নীলিমার নাচ নোনা,
কোন গহীন গোলাপ-গার্বেজে
ফেলে দিয়ে আসতে হয়
রুচির ময়লা মান এবং
পবিত্র বিকার!
তনু করে জরজর
ঘুমন্ত তীরধনুক, বিদ্রোহ বন্ধক।
জিরো আওয়ার থেকে
হান্ড্রেড ইয়ারস অব সলিচিউড;
আমরা কেবল মাঝামাঝি কোথাও
একটা সেঁধিয়ে যাওয়ার
সুযোগে থাকি; ময়ূরাক্ষী।
সূর্যসমুদ্রে মৃত মাল্লাদের
নক্ষত্রকঙ্কাল তালাশ করে
আগুনের অরণ্য।
যেহেতু লকডাউনে গেছে
ঝাঁপ দেওয়ার সব জল-গন্তব্য।
গ্রীষ্মে সেদ্ধ এমন কবিতা প্রায়শই বুকের বেদিতে
বৃষ্টির বিভা নিয়ে
শারদীয়া সকাল থেকে
হলুদ পাতার হেমন্তে জমা রাখে
ছায়া-আবছায়া কুয়াশাকল্লোল।
কবি আর তার
শেকলসিক্ত কথার চচ্চড়ি
কবিতাকে ছেড়ে গেলে
বসন্তবৃক্ষ ঝেঁপে
এইবার ফলে ওঠে
কাঙ্ক্ষিত লিরিকের
টানাগদ্য রক্ত।
ঢাকা/তারা
রাইজিংবিডি.কম