বইমেলা ও একটি অসঙ্গত দাবি
অমর একুশে বইমেলা এখন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। পৃথিবীর কোথাও এক মাসব্যাপী বইমেলা হয় না, বাংলাদেশে হয়― এটা একটা ব্যতিক্রম ঘটনা। এই ঘটনায় বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম হচ্ছে, যেমন সুনাম হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রার কারণে। মঙ্গল শোভাযাত্রা তো এখন বিশ্বসংস্কৃতির অংশ। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় এই শোভাযাত্রা রেখেছে ইউনেস্কো।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বইমেলার রূপ পাল্টেছে। প্রতিবছর লাখ লাখ পাঠক-দর্শকের সমাগম ঘটে এই মেলায়। দিন যতই যাচ্ছে ততই মেলার শ্রী বৃদ্ধি হচ্ছে। বাড়ছে পরিসর, বাড়ছে স্টলের সংখ্যা, বাড়ছে পাঠক-দর্শক সংখ্যাও। একই সঙ্গে বাড়ছে লেখকের সংখ্যাও।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর প্রকাশিত হয় চার-পাঁচ হাজার বই। স্বীকার করি, এসব বইয়ের মধ্যে ‘দুর্বল বই’ও থাকে, যে বই পাঠকচিত্ত নাড়া দিতে পারে না, সাহিত্যের কোনো কাজে আসে না এবং মানুষের মনন গড়ার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। ‘দুর্বল বই’ থাকাটা স্বাভাবিক। ধান চাষ করতে গেলে জমিনে শুধু ধান হয় না, আগাছাও হয়। আবার সব যে ধান হবে তা-ও নয়, ধানের সঙ্গে চিটাও হয়। একইভাবে বাগানের সব গাছ একই আকারের হয় না, সব গাছ একই পরিমাণের ফল দেয় না―এটা প্রাকৃতিক নিয়ম। এই নিয়মকে উপেক্ষা করা যায় না। ভালো বই প্রকাশিত হলে ‘দুর্বল বই’ও প্রকাশিত হবে―এটা স্বাভাবিক।
অনেকে আবার এত এত বই প্রকাশে নাখোশ হন, হা-হুতাশ করেন। তাদের হা-হুতাশ দেখলে মনে হয় এত এত বই প্রকাশের কারণে যেন দেশের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, সাহিত্যের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। আমি তো মনে করি ১৮ কোটি মানুষের দেশে চার হাজার বই খুবই কম। অন্তত কুড়ি হাজার হওয়া উচিত ছিল। উদাহরণ হিসেবে কানাডার কথা বলা যায়। কানাডার জনসংখ্যা কত এবং প্রতিবছর সে-দেশে কত হাজার বই প্রকাশিত হয়―সেটা যদি হা-হুতাশকারীরা খোঁজ নিয়ে দেখতেন, তবে তারা আর হা-হুতাশ করতেন না।
আবার কাউকে কাউকে বলতে শোনা যায়, এত এত বই প্রকাশ স্রেফ অপচয়। এই অপচয় বন্ধের দাবি তোলেন তারা। তাদের কথা শুনলে মনে হয় এই অপচয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। দেশে কত অপচয়ই তো হচ্ছে। কোথায় অপচয় নেই? রাষ্ট্র পরিচালনার নামে কত কোটি টাকা অপচয় হয়ে যাচ্ছে তার কি হিসাব আছে? চিন-আমেরিকা-ইংল্যান্ড-কোরিয়াসহ যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রগুলো মারণাস্ত্রের পেছনে কত অর্থের অপচয় করছে, তার সিকিভাগের একভাগও তো অপচয় হয় না বইমেলায়। শুধু চিত্ত বিনোদনের জন্য মানুষের অপচয় কি কম? গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ধানমণ্ডিতে প্রতিদিন যে পরিমাণ অপচয় ঘটে, তা দিয়ে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা আনা সম্ভব। ঢাকা শহরের রাস্তায় এই যে শত শত প্রাইভেট কার, তার মধ্যেও কি অপচয় কম? একটা মানুষকে, কেবল একটা মানুষকে বহন করার জন্য শত শত টাকার তেল পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। টেলিভিশনগুলোও কি অপচয় করছে না? দেশে এত এত টেলিভিশন―ক’টা দেখে মানুষ? প্রতিদিন এত এত পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে―ক’টা পড়ে মানুষ? এত এত রেডিও― ক’টা শোনে মানুষ?
সেক্ষেত্রে বই প্রকাশের জন্য কিছু অর্থ অপচয় না হয় হলোই। অপচয়টা তো বইয়েরই জন্য, খারাপ কোনো কাজের জন্য তো নয়। মানুষ তার কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে যত কিছু আবিষ্কার করেছে তার মধ্যে বই একটি। যত বেশি বই প্রকাশিত হবে প্রকাশনা জগৎ তত বেশি সমৃদ্ধ হবে। একটি বইয়ের পেছনে কেবল লেখক থাকে না, থাকে প্রকাশক, কম্পোজিটর, প্রচ্ছদশিল্পী, মুদ্রাকর, বাঁধাই কারিগরসহ নানা পেশার মানুষ। বই প্রকাশের মধ্য দিয়ে তারা উপকৃত হচ্ছে, ঘুরছে অর্থনীতির চাকা।
সম্প্রতি একটি দাবি উঠেছে। মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ তথা টিকিট সিস্টেমের দাবি তুলেছেন কেউ কেউ। তাদের যুক্তি―মেলায় প্রবেশমূল্য থাকলে ‘উটকো লোকজন’ ঢুকতে পারবে না। এই ‘উটকো লোকজন’ কারা? যারা বই কেনে না, যারা শুধু ঘুরতে যায়, যারা শুধু চটপটি-ফুচকা খেতে যায় এবং যারা সেলফি তুলতে বা প্রেম করতে যায় তারা। টিকিট সিস্টেম চালু করলে এদের ‘উৎপাত’ কমবে, প্রকৃত পাঠকরা নির্বিঘ্নে বই কিনতে পারবে।
আচ্ছা, বইমেলা কি শুধুই বই কেনা-বেচার জন্য? মোটেই তা না। বই কেনাবেচার জন্য বাতিঘর, পাঠকসমাবেশ, উজান অথবা রকমারির মতো নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অর্ডার করলে বইটি তারা বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছে। বই কেনার জন্য মেলার দরকার হয় না। মেলা মানে নতুন বইটি প্রদর্শন করা, সেই বই সম্পর্কে পাঠকসমাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা। মেলায় বইটি বিক্রি হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। মেলার পরও পাঠক বইটি কিনতে পারবে, সারা বছর কিনতে পারবে। আর এর নাম মেলা। মেলায় মানুষ শুধু কেনা-বেচা করতে যায় না। মেলায় মানুষ যেমন কলা বেচতে যায়, তেমনি রথও দেখতে যায়। মেলায় মানুষ ঘুরতে যায়, আনন্দ করতে যায়। যেমন বৈশাখী মেলা। বৈশাখী মেলায় গিয়ে কাউকে জিনিসপত্র কিনতে হবে এমন কোনো শর্ত থাকে না। বৈশাখী মেলায় প্রবেশের জন্য কেউ কি টিকিট সিস্টেম চালুর দাবি তোলে? তোলে না। বইমেলাও তেমনি একটি উৎসব। এই মেলা শুধু বই কেনা-বেচার উৎসব নয়, এটি এখন একটি জাতীয় উৎসব। এই উৎসবে পাঠকরা যেমন অংশ নেবে, তেমনি অপাঠকেরা অংশ নেবে। নেওয়ার অধিকার তারা রাখে।
বই মানুষ বেঁচে থাকার জন্য পড়ে না। বেঁচে থাকার জন্য বই পড়ার দরকার হয় না। মানুষ বই পড়ে সাহিত্যরস আস্বাদনের জন্য, জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার জন্য। বইপাঠ একটা আনন্দও। বই কিনবেও মানুষ আনন্দের সঙ্গে। আমি তো এমন বই বিক্রয় কেন্দ্রের স্বপ্ন দেখি যেখানে বসে মানুষ চা-কফি খাবে, বিয়ার খাবে, প্রেমিক-প্রেমিকারা বসে প্রেম করবে, মন চাইলে বসে বসে বই পড়বে, ফেরার সময় পছন্দের বইগুলো কিনে নিয়ে যাবে। বইমেলাও তেমনি। মানুষ ঘুরবে, চা খাবে, চটপটি-ফুচকা খাবে, আড্ডা মারবে, মন চাইলে বই কিনবে, মন না চাইলে শুধু আড্ডা দিয়েই চলে যাবে। আমরা যখন দাবি তুলছি, তোমাকে বই কিনতেই হবে, না কিনলে মেলায় ঢোকা যাবে না, তুমি উটকো, তখন আমরা বইমেলাকে কেন্দ্র করে মানুষের উৎসবকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছি। এটা এক ধরনের জবরদস্তি। শিল্প-সাহিত্য কোনো জবরদস্তির ব্যাপার নয়। শিল্প-সাহিত্য উৎসবের ব্যাপার, আনন্দের ব্যাপার।
কেউ কেউ বলেন, কলকাতা বইমেলায় তো প্রবেশমূল্য আছে, বাংলাদেশের মেলায় থাকলে ক্ষতি কী? তারা না বুঝেই কলকাতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তুলনা করে থাকেন। কলকাতাবাসী আর বাংলাদেশবাসীকে এক পাল্লায় মাপাটা হবে ভুল। কলকাতায় পাঠক আছে, পাঠের ঐতিহ্য আছে। সেখানে মেলা না হলেও মানুষ বই কেনে, বই পড়ে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ঠিক দিশায় নেই। তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে মানুষের মনন, রুচিবোধ। ৫০ বছরেও জাতির মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। ১৮ কোটি মানুষের দেশে ৫০ লাখ পাঠক নেই। একটি কবিতার বই এক হাজার কপি বিক্রি হয় না, একটি ভালো উপন্যাস দুই হাজারের বেশি বিক্রি হয় না। পঞ্চাশ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু পাঠক বাড়েনি, আগে যা ছিল এখনো তা-ই আছে।
মানুষকে বইমুখী করে তোলার বহুমুখী প্রচেষ্টার মধ্যে বইমেলা একটি। মেলাকে কেন্দ্র করে সারা দেশের পাঠকসমাজের মধ্যে একটা উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এই উৎসব স্বতঃস্ফূর্ত। এখন যদি মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়, সেই স্বতঃস্ফূর্ততায় ভাটা পড়বে। কারো এত ঠেকা নেই যে, টিকেট কেটে বইমেলায় প্রবেশ করবে। তাতে বইবিমুখ জাতি আরো বেশি বইবিমুখ হবে। আজ যে তরুণটি মেলায় আসছে, ঘুরছে, চটপটি-ফুচকা খাচ্ছে, সেলফি তুলছে, একদিন তার মধ্যেও তৈরি হতে পারে পাঠস্পৃহা, একদিন সে-ও হয়ে উঠতে পারে লেখক। ইতিবাচক পরিবেশ মানুষকে ইতিবাচকতার দিকে চালিত করে।
তা ছাড়া যে কোনো কিছুতে মানুষকে প্রথমে অভ্যস্ত করে তুলতে হয়। বাঙালি কখনো চা পান করতো না। চা কী জিনিস জানত না। তখন ব্যবসার উদ্দেশ্যে চীন থেকে চা আমদানি শুরু করেছে বৃটিশ কোম্পানি। এই চা তো বিক্রি করতে হবে, নইলে তো ব্যবসা হবে না। কী করা যায়? ইংরেজরা ভারতবর্ষের মানুষদের বিনামূল্যে চা পান করাতে শুরু করল। বিনামূল্যে পান করতে করতেই একটা সময় চা-য়ে অভ্যস্ত হয়ে উঠল মানুষ। তারপর শুরু করল টাকায় কিনে খাওয়া। জমে উঠল কোম্পানির ব্যবসা। এখন তো চা ছাড়া বাঙালির চলেই না। চা এখন হয়ে উঠেছে এক অপরিহার্য পানীয়।
মানুষকে আগে বইমেলায় যাতায়াতের প্রতি অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। অভ্যস্ত হয়ে গেলে তখন টিকিট কাটতে আপত্তি করবে না। অভ্যস্ত হয়ে না ওঠা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্তই রাখতে হবে। আমি তো মনে করি এই করোনাকালে যারা বইমেলায় যাবে তাদের দেওয়া যেতে পারে একটি মাস্ক, একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা অন্য কোনো উপহার সামগ্রী, যাতে তারা মেলায় আসতে উৎসাহী হয়। সরকারি অর্থায়নে বাংলা একাডেমিও পারে এমন একটি উদ্যোগ নিতে যে, যারা মেলায় আসবে, প্রত্যেককে একটি বই উপহার দেবে। সেই বইটি হতে পারে ইতিহাস, ঐতিহ্য বা সংস্কৃতি বিষয়ে।
একইভাবে আমি মনে করি, সরকারি উদ্যোগে জনসাধারণকে বিনামূল্যে বই দেওয়া উচিত, যেমন বছরের শুরুতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয়। শিক্ষা কিংবা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে, সেই অর্থে কেনা হবে বই। বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে, এমনকি পাঠে উৎসাহী সাধারণ জনগণের মধ্যেও। বাংলাদেশকে এখন ‘মধ্য আয়ের দেশ’ বলা হচ্ছে। দেশবাসীর মৌলিক চাহিদাগুলো মিটেছে। দেহের ক্ষুধা মেটানোর জন্য যদি দরিদ্র জনসাধারণকে চাল বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে, তবে মনের ক্ষুধা মেটানোর জন্য কেন বই বরাদ্দ দেওয়া হবে না? প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত মানুষদের মধ্যে যদি ত্রাণ বিতরণ করা হতে পারে, মনন-দুর্যোগকবলিত বা মননের দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের জন্য ত্রাণ হিসেবে বই বিতরণ কেন নয়?
আর বইমেলায় এককালে বিঘ্ন ছিল; যখন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতো মেলা। তখন দর্শক-পাঠকের লাইন এদিকে টিএসসি, ওদিকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত ঠেকত। মেলা এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়। থাকে একাধিক প্রবেশ পথ। আগের মতো সেই দীর্ঘ লাইন থাকে না। স্টলগুলো থাকে সুবিন্যস্ত। থাকে হাঁটাচলার মতো পর্যাপ্ত জায়গা। বই কিনতে পাঠকদের এখন আর বিঘ্নের মুখোমুখি হতে হয় না। তবুও যদি কোনো বিঘ্নের সৃষ্টি হয়, আমরা বরং মেলার পরিসর আরো বাড়ানোর দাবি তুলতে পারি। গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে স্টল বিন্যস্ত করার দাবি জানাতে পারি। সেই দাবি না তুলে আমরা যখন মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণের দাবি তুলছি, তখন আমরা একটি উৎসবকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছি, পাঠবিমুখ মানুষকে নিরুৎসাহিত করার অপপ্রয়াস করছি।
বইমেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ মানে এই মেলাকে সংকোচন করে তোলা। উৎসবের সংকোচন সবসময় খারাপ। আমাদের উৎসবগুলো সংকোচন করা হচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করত। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত শাহবাগে চলত মেলা। নিরাপত্তার অজুহাতে এখন চারদিক ঘিরে রাখে পুলিশ, মাঝখানে অল্প কিছু মানুষ। সন্ধ্যার পর কাউকে আর এই এলাকায় থাকতে দেওয়া হয় না। এভাবে সংকোচন নীতি অব্যাহত থাকলে মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে কিনা সন্দেহ। প্রবেশমূল্য চালু করলে বইমেলা সংকুচিত হবে, প্রাণ হারাবে, মেলার স্বতঃস্ফূর্ততা নষ্ট হবে। আমরা চাই এই মেলায় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসুক। বেশি বেশি মানুষ মেলায় আসার জন্য যা যা করণীয় তা তা করা হোক। মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো বইমেলাও স্বীকৃতি পাক বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে। বইমেলা কখনো কর্পোরেট রূপ না পাক― এই প্রত্যাশা করি।
লেখক: কথাসাহিত্যিক
/তারা/