ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংকটে পড়েছে পোশাকশিল্প : বিজিএমইএ

নাসির উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ৬ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংকটে পড়েছে পোশাকশিল্প : বিজিএমইএ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ)  সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলনে তিনি।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আমরা শঙ্কার সাথে লক্ষ করছি, ছাত্ররা ঘরে ফিরে গেলেও যানবাহন পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে পর্যাপ্ত যানবাহন নামেনি। ফলে, জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প। এমনিতেই আমরা গত ১ সপ্তাহে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঠিকমতো পোশাকশিল্পের আমদানি ও রপ্তানি পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারিনি। বন্দরে কন্টেইনার ভর্তি রপ্তানিতব্য পণ্য পড়ে আছে। জাহাজিকরণের অপেক্ষায় কারখানায় পড়ে আছে তৈরি পণ্য।

সিদ্দিকুর রহমান বলনে, যানবাহন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনেক কারখানা স্টকলটের শিকার হবে। অনেক কারখানা এয়ার ফ্রেইট করতে বাধ্য হবে। আর এর মাশুল দিতে হবে পোশাকশিল্পকে। আমরা যখন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের সকল শর্ত পূরণ করে নিজেদের মতো করে চলার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আমাদেরকে পিছিয়ে দেয়। আমরা হতোদ্যম হয়ে পড়ি। ক্রেতাদেরও আস্থাহানি ঘটে। শিল্পের ভাবমূর্তি ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষূণ্ন হয়, যা মোটেই কাম্য নয়। আমরা এমন কোনো কর্মকাণ্ড চাই না, যা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত ও স্থবির করে দেয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করে, ব্যবসা-বাণিজ্য পিছিয়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, গত ২৯ জুলাই দুঃখজনক বাসদুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী রাজীব ও মীমের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আমি আন্দোলনকারী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে গেছে এবং আমাদের এই সন্তানেরা যে কাজটি করেছে তা বিশাল। তারা সকলকেই দেখিয়ে দিয়েছে ও বুঝিয়ে দিয়েছে যে, সড়কে কতো নৈরাজ্য রয়েছে, কতো বিশৃঙ্খলা রয়েছে। তাদের এই আন্দোলন সকলের টনক নড়িয়ে দিয়েছে, সকলের মধ্যে নৈতিকতাবোধ ও কর্তব্যবোধ জাগিয়ে তুলেছে, আইন প্রয়োগে নৈতিক ভিত্তি দিয়েছে। তাই নিরাপদ সড়কের জন্য অনেক বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। কঠোর আইন যেমন দরকার, এর যথাযথ প্রয়োগও তেমনই নিশ্চিত করতে হবে। চালকদেরকে নিয়মিতভাবে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাত্রী, চালকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক দ্বারা গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ আগস্ট ২০১৮/নাসির/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়