ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

টেকনাফে হাজারো পরিবার খোলা আকাশে নিচে

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ৪ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টেকনাফে হাজারো পরিবার খোলা আকাশে নিচে

কক্সবাজার প্রতিনিধি : উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফে কয়েক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সব পরিবারের অনেকে আংশিক আবার অনেকে পুরোটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

অপরদিকে মোরার আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়া হাজার হাজার পরিবার এখনো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত এ সব পরিবারের লোকেরা না খেয়ে রোজা রেখে নিজেরাই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। দ্রুত বিধ্বস্ত বাড়িঘর মেরামত করতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বর্ষায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এদিকে দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণের চেয়ে বিধ্বস্ত বাড়িঘর নির্মাণের আকুতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ত্রাণের পরিবর্তে বাড়িঘর নির্মাণে সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন।

টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৩০ মে বয়ে যাওয়া ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে টেকনাফে ১২ হাজার ৯৯৫টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ১০ হাজার ১৬৩টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৬৫ মে. টন চাল ও নগদ ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দকৃত চাল এবং টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আরো চাল, অর্থ, ঢেউটিন ও থ্রিপল বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।


উপজেলার অনেক এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দুর্গতদের অনেকেই এখনো সরকারি এবং বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পাননি।

হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী এলাকার মৃত মুফিজুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ হাশেম ও সোনালীর পুত্র ছৈয়দ হোছাইন জানান, ঘূর্ণিঝড় আমাদের বাড়িঘর একেবারে ভেঙে দিয়েছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে এখনো কোনো ত্রাণ সামগ্রী পাননি বলে তারা জানান।

একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসনের পুত্র নুর মোহাম্মদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে একমাত্র সম্বল বাড়িটি উড়ে গেছে। এখন স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় কোনো রকম আছি। নুর মোহাম্মদও  কোনো ত্রাণ সামগ্রী পাননি বলে জানান। 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে সেন্ট মার্টিনে ৪৫৬টি ঘর একেবারে বিধ্বস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত পবিারগুলো এখন খোলা আকাশে নিচে বসবাস করছে। ত্রাণের চেয়ে দ্বীপে বিধ্বস্ত হওয়া বাড়িঘর নির্মাণে সরকারি-বেসরকারি সহেযাগিতার দাবি জানান তিনি।




রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/৪ জুন ২০১৭/সুজাউদ্দিন রুবেল/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়