ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ধর্ষণে অভিযুক্ত এসআই খাইরুলকে বাদ দিয়ে মামলা!

সাকিরুল কবীর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধর্ষণে অভিযুক্ত এসআই খাইরুলকে বাদ দিয়ে মামলা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: যশোরের শার্শার গোড়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুলকে বাদ দিয়েই ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। বুধবার শার্শা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অপর এক জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। মামলা নম্বর ৪।

এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৩) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহমুদ আল ফরিদ জানান, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের সোর্স কামরুল, লতিফ ও কাদেরের নাম উল্লেখ করেই ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিদের প্রেপ্তার করে বুধবার সকালে কোর্টে চালানও দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ‌্য, যশোরের শার্শার গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুলসহ সোর্সের বিরুদ্ধে এক আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যশোরের পুলিশ সুপার ভুক্তভোগী মহিলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠান। এছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ওই নারীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, গত ২৫ আগস্ট রাতে শার্শার লক্ষণপুর গ্রামে তার স্মামী আসাদুজ্জামান আশাকে গোড়পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল তুলে নিয়ে যায়। পরদিন ২৬ আগস্ট ৫০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে আসাদুজ্জামানকে আদালতে চালান দেয়।

২৬ আগস্ট সোমবার রাত ২টার দিকে চটকাপোতা গ্রামের কামরুল, লক্ষণপুর গ্রামের লতিফ ও কাদেরকে নিয়ে এসআই খাইরুল আসামি আসাদুজ্জামানের বাড়িতে যায়। তাঁর স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে স্বামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে খায়রুল ও কামারুল ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে এসআই খায়রুল ও পরে পুলিশের সোর্স কামারুল ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। সেসময় লতিফ ও কাদের ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকেও মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে যান। তিনি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদের অনুমতি নিয়ে ওই নারীকে পুলিশ সুপার মঈনুল হকের অফিসে নিয়ে যান।

এদিকে ওই ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে বুধবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে ৩ সদস‌্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত শেষে তারা যশোরের পুলিশ সুপার বরাবর তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন বলে জানা গেছে।

 

রাইজিংবিডি/যশোর/৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯/সাকিরুল কবীর/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ