ঢাকা     বুধবার   ১৫ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৩, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান

চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি গোলন্দাজ ইউনিটকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

সোমবার চট্টগ্রামের হালিশহরস্থ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে সেনাপ্রধান রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ইউনিটসমূহকে কালার প্রদান করেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং দেশ মাতৃকার বিশেষ অবদানের জন্য সেনাবাহিনীর ১৪, ২৬ ও ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি এবং ২১ এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ইউনিট কালার প্যারেডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সেনাপ্রধানের কাছ থেকে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করেন।

কালার প্রদান ও রেজিমেন্টাল পতাকা প্রদান করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্যে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থিতিশীলতা রক্ষায় গোলন্দাজ ইউনিটের সদস্যগণ অপারেশন উত্তরণ এর অধীনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে।’

‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন আইভরিকোস্টেও অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছে যা প্রশংসার দাবিদার। দুর্ঘটনাবিহীন যানচলাচলের জন্য উক্ত ইউনিট দুইবার সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেছে।’

গোলন্দাজ বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, ‘সআজ যে পতাকা প্রদান করা হয়েছে তার মর্যাদা রক্ষার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সবসময় প্রস্তুত থাকবেন। বর্তমান সরকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রণীত প্রতিরক্ষানীতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিরক্ষানীতি ২০১৮ অনুযায়ী সেনাবাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে কাজ করা হচ্ছে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সেনাবাহিনী ফোর্সেস গোল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

সেনাপ্রধান আরো বলেন, ‘দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে সেনাবাহিনী। বর্তমানে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব অবদান রাখছে। ভবিষ্যতেও যেকোন প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে অত্যাধুনিক ও বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ অপরিহার্য উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘যদি আমাদের মৌলিক প্রশিক্ষণের ঘাটতি থাকে তাহলে তার উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ভবিষ্যত যুদ্ধক্ষেত্রের সকল ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তত থাকতে হবে।’

গোলন্দাজ ইউনিটের কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রুবায়েত মাহমুদ হাফিজ, ১৪, ২৬ ও ৩০ ফিল্ড রেজিমেন্ট এবং ২১ এয়ার ডিফেন্স রেজিমেন্ট আর্টিলারির কন্টিনজেন্ট সমূহের নেতৃত্ব প্রদান করেন যথাক্রমে ক্যাপ্টেন ফাহিম, ক্যাপ্টেন সাইদুর, ক্যাপ্টেন রিয়াদ এবং মেজর আশিক।

অনুষ্ঠানে প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. আতিকুর রহমান (অব.), চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমানসহ রেজিমেন্ট ও আর্টিলারির প্রাক্তন কর্নেল কমান্ডেন্টগণ, বিভিন্ন ফরমেশন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, চট্টগ্রাম এরিয়ার নৌ ও বিমান বাহিনীর কমান্ডারগণ এবং সামারিক ও বেসামারিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


চট্টগ্রাম/রেজাউল/জেনিস

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়