ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আশুলিয়ায় অস্ত্র-মাদকসহ আটক ৩

উপজেলা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আশুলিয়ায় অস্ত্র-মাদকসহ আটক ৩

সাভারের আশুলিয়া থেকে মাদক ও অস্ত্র পরিবহনকালে তিন জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দু’টি শর্টগান ও ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে উপজেলার গৌরীপুর বি বাংলার মোড় এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মো. সুমন (৩০), কামরুজ্জামান রাসেল (৩১) ও মো. আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদ (২৬)। সে সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছেন। চক্রটি দিনাজপুর সীমান্ত থেকে ফেনসিডিল চোরাচালান করে বিভিন্ন পরিবহন ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহ করত।

তিনি আরো জানান, এই চক্রের অন্যতম সদস্য দিনাজপুর জেলার জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধভাবে ফেনসিডিলের চালান দেশে নিয়ে এসে তার সহযোগী আটক আসামি সুমন ও রাসেলের মাধ্যমে মাদকের চালান রাজধানী ঢাকায় নিয়ে আসে। পরে ঢাকায় আটক অপর সহযোগী আসাদের মাধ্যমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের কাছে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে বলে জানায়।

আটক সুমন জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় একজন প্রাইভেটকার চালক। ১২ বছর ধরে প্রাইভেটকার চালান। প্রাইভেটকার চালানোর পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত।

দিনাজপুর জেলার পলাশবাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ফেনসিডিলের চালান এনে রাজধানী ঢাকার মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। এর আগেও তিনি ৮-১০টি মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরবরাহ করেছে বলে স্বীকার করেছেন। চালানপ্রতি তিনি পেতেন ২০ হাজার টাকা।

মাদক পরিবহনে সুমনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন রাসেল। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, দিনাজপুর সদরে তার একটি মোবাইল টেলিকমের দোকান আছে। মোবাইল টেলিকমের ব্যবসা করার পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি নিজেও মাদকাসক্ত। এর আগে তিনিও আটটি মাদকের চালান রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলায় সরবরাহ করেছেন। চালানপ্রতি নিয়েছেন ১৫ হাজার টাকা।

আরেক আটক আসাদ ঢাকার একটি বায়িং হাউজে কর্মরত। তিনিও বায়িং হাউজে চাকরির পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সুমন ও রাসেল মাদকের চালান ঢাকায় নিয়ে আসার পর তিনি রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় এ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের কাছে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে আসছিল।

আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।


সাভার, ঢাকা/সাব্বির/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়