লক্ষ্মী সাঁওতালের ভাতা মিলবে কবে
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পাহাড়ি এলাকায় লালচান্দ চা বাগান। সেখানেই থাকেন নিঃসন্তান বিধবা বৃদ্ধা চা শ্রমিক লক্ষী বিলাস সাঁওতাল। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও এখনো মেলেনি সরকারি ভাতা।
লক্ষী বিলাস বলেন, “স্বামী জহুর সাঁওতাল বহু আগে মারা গেছেন। আমার কোনো সন্তানও নেই। শরীরে শক্তি ছিল যখন, তখন চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবন চালিয়েছি। এখন শরীরে শক্তি নেই। কাজও করতে পারি না।’
‘জীবনের পুরোটা সময় বিলিয়ে দিয়েছি একটি কুঁড়ি ও দুটি পাতার মায়ায়। বয়স হয়েছে, তাই কাজে যেতে পারি না। কাজে না গেলে টাকাও নেই। বর্তমানে মাঝিপাড়ায় ভাই বিনন্দ্র সাঁওতালের কাছে থেকে কোনো রকমে বেঁচে আছি।”
তিনি বলেন, “সরকারিভাবে আমার জন্ম তারিখ ১৩ এপ্রিল ১৯৪৭। সেই হিসেবে প্রায় ৭২ বছর। তবে বাস্তবে আমার বয়স ৯০ বছরের কাছাকাছি।’
‘এ বয়সেও আমি সরকারীভাবে বিধবা বা বয়স্ক ভাতা পাচ্ছি না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে ভালবেসে আজ পর্যন্ত রয়েছি। বর্তমান নৌকার সরকার থাকার পরও আমি কেনো ভাতা পাচ্ছি না?” আক্ষেপ করে বলেন লক্ষ্মী।
তার ভাই বিনন্দ্র সাঁওতাল বলেন, ‘বোনের কেউ না থাকায় আমি দেখাশুনা করছি। শেষ বয়সে নানা রকমের রোগে ভুগছে সে। এখানে আমার পক্ষে নিজ পরিবার চালিয়ে বোনের ভরণপোষণ করাটা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বোনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই, তাকে যেন বয়স্ক এবং বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।’
স্থানীয় সমাজসেবক মো. সুমন মিয়া বলেন, ‘লক্ষী সাঁওতালের অবস্থা ভালো না। ভাতার ব্যবস্থা হলে তার জন্য বিরাট উপকার হবে।’
চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভারপ্রাপ্ত ইউএনও নুসরাত ফাতিমা বলেন, ‘এ ব্যাপারে নতুন ইউএনও স্যার আসলে যোগাযোগ করুন। ’
হবিগঞ্জ/মামুন চৌধুরী/সনি
রাইজিংবিডি.কম