শীতে কাতর চাঁদপুরের মানুষ
নদী তীরবর্তী চাঁদপুরে ক্রমেই শীত বাড়ছে। পৌষের শুরু থেকেই তীব্র শীতে কাতর জেলাবাসী। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে পুরো জেলায় কুয়াশা আর হিম বাতাস বইছে।
তীব্র এ শীতে দুর্ভোগে চরাঞ্চল ও ফুটপাতের মানুষজন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের আভা জেলার কোথাও লক্ষ করা যায়নি। ঠান্ডার কামড় থেকে বাঁচতে গরম কাপড় পরে আগুনে হাত-পা সেঁক দিচ্ছে সব বয়সের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চাঁদপুর আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এখানে ঠান্ডা ক্রমেই বাড়ছে। এ মাসের ২০ তারিখের পর এখানে শৈত্যপ্রবাহ বাড়তে পারে। শৈত্যপ্রবাহের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হবে কিনা তা শৈত্যপ্রবাহ বাড়ার সাথে সাথে বোঝা যাবে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. সুজাউদদৌলা রুবেল জানান, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
এদিকে চাঁদপুরে শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, শীতার্ত মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। অন্য বছর বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর শীতবস্ত্র তিবরণ করতে দেখা গেলেও এবার তা দেখা যাচ্ছে না। অসহায় মানুষের মধ্যে অনেকেই নিজ উদ্যোগে শীতবস্ত্র কিনে এর থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে।
এমন কথাই জানালেন চাঁদপুর রেলওয়ে কোর্টস্টেশন এলাকার ফুটপাতের অসহায় মানুষ। প্রতিদিন চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ফুটপাত, রাস্তার মোড়, রেলস্টেশন এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীতার্তদের কষ্ট বেড়ে চলেছে।
এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন ও সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করলে সত্যিকারের শীতার্ত মানুষ উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাঁদপুর/দেলোয়ার/মাহি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন