যৌন নির্যাতন মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কিশোরী যৌন নির্যাতনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বছরের এই ঘটনায় যৌন হয়রানির শিকার হয়ে অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে এবং কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় এক মেয়ে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গ্রেপ্তারের পর ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেড়েরবাড়ি গ্রামের আজাহার আলী (৬০) এবং একই গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে ও ধর্ষকের বাবা ফজলুল বারী (৪৫)।

জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামের ফজলুল বারীর ছেলে মেহেদী হাসান প্রতিবেশী এক দিনমজুরের কিশোরী মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু প্রেমে সাড়া দেয়নি মেয়েটি। ২০১৯ সালের ১৫ মে দুপুরে সুযোগ বুঝে মেয়েটিকে  নির্যাতন করে মেহেদী। ওই সময় মেয়েটির বাড়িতে কেউ ছিলেন না।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যান মেয়ে ও তার মা। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান তাদের বিচার না দিয়ে ঘটনাটি ধামাচামা চেওয়ার চেষ্টা করেন। ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো সহায়তা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান তারা। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে মেয়েটি সন্তানের জন্ম দেয়। বিষয়টি জানার পর থেকে মেহেদী পলাতক।

মেয়েটি বাদী হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় মেহেদী হাসান ও তার বাবা ফজলুল বারী এবং ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, মেয়েটি বিচার চেয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ধর্ষককে শনাক্ত করা সম্ভব না। তাই তাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তারপরও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির ইন্ধনে আমাকে আসামি করা হয়েছে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে মামলা করেছে।


বগুড়া/আখতারুজ্জামান/সাইফ