পেশা ছাড়ছেন কুটিরশিল্পে জড়িতরা
নওগাঁ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পেশা ছাড়ছেন নওগাঁর ধামইরহাটের কুটিরশিল্পে জড়িতরা।
কয়েক বছর আগেও গ্রামেগঞ্জে দেখা যেতো বাঁশের তৈরি দৃষ্টিনন্দন কুলা, খাঁচা, চালনি, চাটাই, ডোল, ঝুড়ি, পলো, ডালা প্রভৃতি। এসব বাঁশজাত পণ্যের ছিল ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু এখন এসব পণ্যের জায়গা দখল করছে প্লাটিক পণ্য।
একদিকে ব্যবহারকারীর অভাব, অন্যদিকে বাঁশের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাঁশ শিল্পীদের অনেকেই তাদের পৈত্রিক পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন।
উপজেলার মাহালী পাড়া গ্রামে এ পেশায় জড়িত আন্তনি, বেলজামিন, স্বরেণ বলেন, ‘বাপ-দাদার পেশা তাই আকড়ে ধরে আছি। ছেলেমেয়েরা এখন আর এ পেশায় কাজ করতে চায় না। এতে পরিশ্রম বেশি, লাভ কম। আগের মতো চাহিদাও নেই।’
বাঁশ শিল্পে জড়িত ভরত টুডু, মার্টিন মার্ডি জানান, ‘বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। পুঁজি সংকটও রয়েছে। চাহিদা ও মুনাফা ভালো না আমাদের দুর্দিন যাচ্ছে।’
বাঁশের তৈরি পণ্য সামগ্রীর বিক্রেতা মাইকেল জানান, এক যুগ আগেও ছিল বাঁশের সামগ্রীর কদর। পরিবারের দৈনন্দিন কাজে বাঁশের তৈরি কুলা, চালনি, ঝুড়ি, ডালা মানুষ ব্যবহার করত। এখন এসব পণ্য প্লাস্টিকের পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বেচা-বিক্রি খুবই কমে গেছে। এখন খাঁচা, চাটাই, ডোল, পলো এসব বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এগুলোর আগের মত চাহিদা নেই।
বাঙালি সংস্কৃতির পরিবেশবান্ধব বাঁশ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্টদের বিনা সুদে কিংবা স্বল্প সুদে পরিবার ভিত্তিক ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা গ্রহণসহ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা জরুরি বলে মনে খাত সংশ্লিষ্টরা।
নওগাঁ/অরিন্দম/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন