ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

এখন থেকে কক্সবাজার মেডিক্যালে হবে করোনা পরীক্ষা

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এখন থেকে কক্সবাজার মেডিক্যালে হবে করোনা পরীক্ষা

করোনাভাইরাসের জীবাণু পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে গড়ে তোলা হয়েছে ল্যাব।  তাই, এখন থেকে কক্সবাজার মেডিক্যালেও হবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা।

এ জন্য চলে এসেছে পরীক্ষার কিট ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) অভিজ্ঞ লোকজন। রোগীর শরীরে কোভিড-১৯ এর সব আলামত মিললেই করা হবে পরীক্ষা।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া।

তিনি জানান জানান, সারাদেশে করোনার জীবাণু টেস্টের জন্য ১৭টি পরীক্ষাগার প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরমধ্যে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য রোগীর স্যাম্পল ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে পাঠাতে হবে না। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজেই হবে করোনার টেস্ট। তবে রিপোর্ট ঘোষণা করা হবে ঢাকার আইইডিসিআর থেকে।

ডা. অনুপম বড়ুয়া বলেন, ‘যতদূর জানি এই পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে কতক্ষণ লাগবে সেটা আমাদের এখানে পরীক্ষা করার পরই জানতে পারবে। এই ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জনের করোনা ভাইরাস জীবাণু টেস্ট করা সম্ভব।’

তিনি আরো বলেন, ‘কোন রোগী সরাসরি এখানে এসে টেস্ট করাতে পারবেন না। টেস্ট করাতে হলে রোগীর রক্ত, নাকের ফ্লু, থুথু ও অন্যান্য স্যাম্পল জেলা প্রশাসন, সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এখানে পাঠাতে হবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে।’

প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেই কিংবা কারো সন্দেহ হলেই এই টেস্ট করা হবে না জানিয়ে অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া  বলেন, ‘রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকজনকে প্রথমে কোয়ারেন্টাইনে, এরপর আইসোলোশনে রাখা হবে। তারপরও যদি করোনা ভাইরাসের সবগুলো লক্ষণ তার শরীরে দেখা যায় তবেই পরীক্ষা করা হবে। আর এই টেস্ট করতে কক্সবাজারের কোন চিকিৎসক এবং টেকনোলজিস্ট কাজ করবে না। আইইডিসিআরের একটি অভিজ্ঞ দল কাজ করবে যারা অতীতেও এমন সংক্রামক ও জটিল রোগের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছে।’

এদিকে, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো পরিপূর্ণ প্রকাশ পেতে ৪/৫ দিন সময় লাগে। জ্বর, শুষ্ক কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, কোন কোন সময় ডাইরিয়া হচ্ছে এই রোগের লক্ষণ। এটি অন্যান্য সংক্রামক ভাইরাসের চেয়ে একটু আলাদা। স্বাভাবিকভাবে এই ভাইরাস যুবক, তরুণ ও তরুণীদের ঘায়েল করতে পারে না যতটা বয়স্কদের দুর্বল করে দেয়। তাছাড়া, ডায়বেটিকস, প্রেসার ও হার্টের রোগীদের জন্য এটি একটি মারাত্বক ভাইরাস। তাই এসব ব্যাপারে আমাদের সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রতি জেলায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনার আলোকে সেই কমিটি একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ওই নিয়ম অনুযায়ী জেলায় সন্দেহভাজনদের পরীক্ষা করা হবে।

 

রুবেল/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়