সাভার-আশুলিয়ায় শ্রমিক বিক্ষোভ
সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাভার ও আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ এবং ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলায় অবস্থিত প্রাইড গ্রুপের পোশাক কারখানা, আলফা ব্লকিং লিমিটেডসহ ছয়টি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
পরে দুপুরের দিকে শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক সংগঠনের মধ্যস্ততায় শ্রমিকরা অবরোধ ছেড়ে দেন।
কারখানাগুলো হলো- সাভারের বেঙ্গল সিরামিকস লিমিটেড, আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার তানজিনা অ্যাপারেলস লিমিটেড, আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার আনজির সোয়েটার লিমিটেড, আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকার রেডিয়েন্স ফ্যাশন লিমিটেডে, আশুলিয়ার কুটুরিয়া এলাকার জেট এ অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড, আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকার তাজির অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড, আশুলিয়ার জামগড়ার ফ্যাশন ফোরাম লিমিটেড, আশুলিয়ার টেংগুরির আলফা ক্লোথিং লিমিটেড, আশুলিয়ার জামগড়ার ওয়ান ওয়ার্ড ডেনিম লিমিটেড, ফ্যাশন নিট গার্মেন্ট লিমিটেড, সাভারের উলাইল এলাকার প্রাইড গ্রুপ, আশুলিয়ার জামগড়ার নুর জানুমা অ্যাপ্যারেলস লিমিটেড।
সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুরে বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন না দিয়েই কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে খবর পেয়ে ওই কারখানার শ্রমিকরা প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা বিক্ষোভের পর পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এছাড়া আশুলিয়ায় আলফা ব্লকিং লিমিটেড নামে একটি কারখানায় শ্রমিকদেরকে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করে সাদা কাগজে জোরপূর্বক সাক্ষর ও আইডি কার্ড রেখে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে আশুলিয়ার জামগড়া ও জিরানী এলাকার একাধিক পোশাক কারখানার শ্রমিকরাও বিক্ষোভ করেন।
ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারখানাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়োছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্কের সময়েও শ্রমিকদেরকে নিয়ে কারখানাগুলো নানান কাণ্ড ঘটাচ্ছে। কোথাও কোথাও বেতন বকেয়া রয়েছে। আবার বেতন পরিশোধ করা হলেও অবৈধভাবে শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের আইডি জমা না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
ঢাকা শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার জানে আলম খান বলেন, ‘বকেয়া বেতনের দাবিতে ৬-৭টি কারখানায় সকাল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারখানা মালিকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের দিন ধার্য্য করে দেওয়া হয়। দুপুরের দিকে শ্রমিকরা কারখানার অবরোধ ছেড়ে দেয়।’
সাব্বির/সনি
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন