ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনা নিয়েই জুতা বেচলেন ব্যবসায়ী

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ২১ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
করোনা নিয়েই জুতা বেচলেন ব্যবসায়ী

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় এক জুতার দোকানের মালিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই বিক্রেতা গত তিনদিন ধরে ক্রেতাদের কাছে জুতা বিক্রি করেছেন। ফলে ওই উপজেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন খান শাহিন।

তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে ওই দোকান মালিকের করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। তারপরও এ অবস্থায় জুতা বিক্রি করেছেন তিনি। এখন ক্রেতারা বা তার সংস্পর্শে আসা ব‌্যাক্তিরা ঝুঁকিতে পড়েছেন। তার কারণে এ উপজেলা এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’

ডা. হুমায়ুন খান শাহিন জানান, মঙ্গলবার রাতে বরগুনা জেলায় তিন জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে দুজন পাথরঘাটার এবং অপরজন বরগুনার।

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ওই জুতা ব‌্যবসায়ীকে আজ (২১ মে) সকালে উপজেলা স্বাস্থ‌্য কেন্দ্রের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। তার দোকানসহ ওই এলাকা লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। করোনা পজিটিভ আসা পাথরঘাটার অপর দুই রোগীকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। তাদের বাড়িও লকডাউন করা হয়েছে।’

জানা যায়, লকডাউন শিথিল হওয়ার পর অনেক ব্যবসায়ী ঈদের বেচাকেনা করার উদ্দেশে ঢাকার পাইকারি বাজারে গিয়ে মালামাল ক্রয় করে পাথরঘাটায় ফিরছেন। এমন খবর পেয়ে পাথরঘাটা বণিক সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে নয় জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখার আবেদন করে।

বণিক সমিতির নেতারা বলছেন, ওই ব্যবসায়ীদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত না করায় এ উপজেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।

বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অরুণ কর্মকার জানান, করোনার মধ্যে ঢাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অনেকেই প্রকাশ্যে দোকানে বেচাকেনা করেছেন। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এদের মধ্যে সংক্রমিত জুতার দোকানের মালিকের নামও ছিল। যিনি ঢাকা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি দোকানদারি করেছেন।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘বণিক সমিতির মাধ্যমে নয় জনের একটি তালিকা উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হাতে পেয়েছিলাম। এদের সবার কাছে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিন মানতে বলা হয়। কিন্তু তারা কোয়ারেন্টিন না মেনে যে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন কি না এ বিষয়ে বণিক সমিতি আমাদের কিছু জানায়নি।’


রুদ্র রুহান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়