নড়াইলে ১০০ শিশুর মুখে হাসি ফোটালেন সতেজ
ফরহাদ খান || রাইজিংবিডি.কম
দেশে করোনা দুর্যোগের মধ্যে নড়াইলে এতিম-সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মুখে হাসি ফোটালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মির্জা গালিব সতেজ। তিনি নিজে ঈদে নতুন জামা না কিনে একশত শিশুর জামা কিনে দিয়েছেন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে পথচারী এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেন।
সতেজ ঢাকার ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার স্যায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অস্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এবং নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজপাড়ার বিএম নজরুল ইসলামের ছেলে।
মির্জা গালিব সতেজ জানান, ঈদের নতুন পোশাক কিনতে তাকে এক আত্মীয় পাঁচ হাজার টাকা দেন। পরিবার থেকেও টাকা পেয়েছেন। এছাড়া বাবা-মা, ভাই ও মামাদের সহযোগিতায় ৩০ হাজার টাকায় সুবিধাবঞ্চিত ও এতিম শিশুদের জন্য ১০০টি নতুন পোশাক কিনেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা বিতরণ করেছেন।
সতেজ জানান, করোনার শুরু থেকে অসহায় মানুষকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া, মাস্ক বিতরণ, জীবানুনাশক স্প্রে, বিনামূল্যের সবজিবাজার, গরিব কৃষকের ধানকর্তন, সুবিধাবঞ্চিত মা ও শিশুদের মেডিকেল ক্যাম্প চালুসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছেন।
ঈদের পোশাক পেয়ে খুশি শহরের গোহাটখোলার শিশু রাফি, আব্দুর রহিম, আল মামুন, আলিমুন, মহিলা কলেজপাড়ার নীরব, পলি, বর্ষা, ফারজানাসহ অন্যরা।
সতেজের বন্ধু আহমেদ শাকিল, এস এম শাহ পরাণ, সামিরা হক শাম্মা, কে এম রাহাত নেওয়াজ, সোহাগ ফরাজী, মিনহাজ, পরাগ ও জাকারিয়া বলেন,পড়ালেখার পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করেন সতেজ। তাকে বিভিন্ন সময়ে সহযোগিতা করেন তারা।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, মির্জা গালিব সতেজের কর্মকাণ্ড প্রশংসার দাবিদার। এমন মানবিক উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ঢাকা/বকুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন