ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হবিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কঠোর

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ২৬ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
হবিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসন কঠোর

হবিগঞ্জ জেলার পাহাড়ি এলাকার ছড়া ও টিলার নিচ  থেকে ড্রেজার মেশিনে বালু মাটি উত্তোলন করে আসছে প্রভাবশালী চক্রটি। তবে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে পাহাড়ি এলাকার স্থানে স্থানে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করছে প্রশাসন। এসব অভিযানে জব্দ হচ্ছে ড্রেজার মেশিন ও এক্সকেভেটর। উদ্ধার হচ্ছে পাইপ। দণ্ড দেওয়া হচ্ছে বালু ব্যবসায় জড়িতদেরকে।

করোনা পরিস্থিতির শুরুতে বালু উত্তোলন অনেকাংশে বন্ধ ছিল। কিন্তু বর্তমানে করোনায় বালু চোররা সক্রিয় আছে। বালু উত্তোলন হচ্ছে। বালু বিক্রি করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশারী ব্যক্তিরা। প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে আন্তরিক থাকার পরও ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে বালু উত্তোলন চলছে। প্রশাসনের অভিযানের পরই আবারও মেশিন চালু করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। 

বাহুবল, নবীগঞ্জ ছাড়াও এমন চিত্র জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পানছড়ি, গাদাছড়া, লালচান্দ, বদরগাজী, দেউন্দি, ইছালিয়াছড়া, শ্রীবাড়িসহ পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন টিলা ও ছড়ার।

এসব স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন ও এক্সকেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। একইভাবে জেলার মাধবপুর ও নবীগঞ্জ উপজেলায় সময় সুযোগে পাহাড়ি এলাকায় টিলা কাটা অব্যাহত আছে। ছড়া ও টিলা থেকে বালু উত্তোলন চলছে।

পাহাড়ি এলাকার মতো হাওর ও গ্রাম এবং শহর এলাকায় ড্রেজার মেশিনে পাইপের মাধ্যমে বালু মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব করায় হবিগঞ্জের প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকীর মুখে পড়েছে। এতে করে লোকজন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তারা কঠোর ভূমিকা পালন করছেন। ড্রেজার মেশিন ও পাইপ জব্দ করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বালু ব্যবসায়ীদেরকে দেওয়া হচ্ছে দণ্ড।  কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে পারবে না।    

এদিকে ২৪ জুন অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে চুনারুঘাট উপজেলার আমতলী বাজার, গোলগাঁও ও মাশের বাজার এলাকায় নদীর পাড়ে অভিযান চালায় প্রশাসন। এসময় গোলগাঁও এলাকায় খোয়াই নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় একটি বালু উত্তোলনের মেশিন, ২০০ ফিট পাইপ, ১ টি ট্রাক্টর ও আনুমানিক ২০০০ ঘনফুট বালু জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। বালু উত্তোলনের মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমান খান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিল চুনারুঘাট থানা পুলিশের একটি দল।


হবিগঞ্জ/মো. মামুন চৌধুরী/সাজেদ  

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়