নিয়ামতপুরে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

নওগাঁর নিয়ামতপুরে স্ত্রীর গলা কাঁচি দিয়ে কেটে হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বুধবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধানসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছন নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হুমায়ন কবির।

নিহত জেবা খাতুন (১৮)নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের ধানসা গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।

গ্রেপ্তার স্বামী সালাউদ্দিন টুনী (২০) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পৌরসভার মুরাদপুর গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে।

নিহত জেবা খাতুনের বাবা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমার মেয়ে জেবার সঙ্গে সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। গত সোমবার মেয়ে-জামাই আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার রাতে সামান্য কথা কাটাকাটিতে জামাই রাতেই বাড়িতে চলে যেতে চাইলে আমরা বুঝিয়ে রাখি। মেয়ে-জামাই রাতে একই ঘরে থাকে। বুধবার ভোরে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ির বাইরে গরু ছাগল বের করে বসে ছিলাম। মেয়ে-জামাই বাড়ি চলে যাবে বলে আমি আমার স্ত্রীকে নাস্তা বানানোর জন্য বললে সে বাড়িতে চলে যায়।হঠাৎ মেয়ের চিৎকার শুনে আমরা স্ত্রী ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দরজার শব্দ পেয়ে আমিও ছুটে যাই। যেয়ে আমিও দরজা খুলতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। শেষে আমার চাচাতো ভাই এসে লাথি মেরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি সালাউদ্দিন আমার মেয়ের বুকের উপর উঠে বড় কাঁচি দিয়ে গলা কাটছে। মেয়ের গালে কপালে কাঁচি দিয়ে আঘাত করেছে সে। তখনও কাঁচি সালাউদ্দিনের হাতে ছিল। সে উম্মাদের মত বলছে, আমি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলেছি। আমাকে যা ইচ্ছে করেন। আমরা অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সকাল সাড়ে ৬টায় জেবা মারা যায়।’

ওসি হুমায়ন কবির জানান, সংবাদ পেয়ে ফোর্স পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের কারণে স্বামী সালাউদ্দিন স্ত্রী জেবা খাতুনকে কাঁচি দিয়ে গলা কেটেছে। এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি মারা যান।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘাতক সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


সাজু/বুলাকী