ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

রাজশাহীতে ভোট শান্তিপূর্ণ, ভোটার উপস্থিতি কম

তানজিমুল হক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১০ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজশাহীতে ভোট শান্তিপূর্ণ, ভোটার উপস্থিতি কম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণভাবেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে শান্তিপূর্ণ এ ভোটে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম।

রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পর সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া তানোরে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৪ জন। গোদাগাড়ীতে আটক হয়েছেন একজন যুবলীগ নেতা।

সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অলস সময় পার করছেন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোট পড়েছে কম।  প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেছেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে তারা ধারণা করছেন।

সকাল ১০টার দিকে গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিষাল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ২ হাজার ৭৭ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৫৮ জন। কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার খন্দকার মাহফুজুল হক বলেন, ভোটার কম হলেও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর অন্য উপজেলাগুলোতেও ভোটারের সংখ্যা কম। সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভোটার দেখা গেছে গোদাগাড়ীর সারেংপুর সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে। এখানে ২ হাজার ৯০০ ভোটারের মধ্যে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার মিজানুল হক।

এদিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বোদ্ধপুরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে যে কোনো সহিংসতা ঠেকাতে তৎপর রয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা।

এর মধ্যে শনিবার দিবাগত রাতে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র থেকে মইদুল ইসলাম আপেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি। রাতেই কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট ভর্তির দাবি জানালে তাকে আটক করা হয়। গোদাগাড়ীতে নৌকার প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম।

রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে উচ্চ আদালতের নির্দেশে পবা উপজেলার নির্বাচন এক বছরের জন্য স্থগিত রয়েছে। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম দফায় রোববার ভোটগ্রহণ চলছে বাকি আট উপজেলায়। সেগুলো হলো, গোদাগাড়ী, তানোর, মোহনপুর, বাগমারা, দুর্গাপুর, পুঠিয়া, চারঘাট এবং বাঘা।

আট উপজেলায় ভোটের মাঠে রয়েছেন ১৬ চেয়ারম্যান, ৩০ ভাইস-চেয়ারম্যান এবং ১৯ মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাঘা ও মোহনপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন গোদাগাড়ীর মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী।

রাজশাহীতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫২২টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র ধরা হয়েছে ২১৬টি। বাকি ৩০৬টি কেন্দ্র সাধারণ ধরে নিরাপত্তা ছক তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনে দায়িত্বপালন করছেন জেলা পুলিশের প্রায় ২ হাজার সদস্য। প্রতি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় দুটি করে মোট ১০৯টি মোবাইল টিমও দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া মাঠে রয়েছে বিজিবি এবং র‌্যাব।

রাজশাহীর আট উপজেলায় মোট ভোটার ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে তানোরে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৩, গোদাগাড়ীতে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩, মোহনপুরে এক লাখ ২৯ হাজার ২৪৮, বাগমারায় ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪, পুঠিয়ায় এক লাখ ৬০ হাজার ৭২৪, দুর্গাপুর এক লাখ ৪১ হাজার ১০৫, চারঘাটে এক লাখ ৫৯ হাজার ৭২৫ এবং বাঘায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৩ জন।



রাইজিংবিডি/রাজশাহী/১০ মার্চ ২০১৯/তানজিমুল হক/টিপু

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়