কুষ্টিয়ায় ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কুষ্টিয়ায় দেশি-বিদেশি চারুশিল্পীদের নিয়ে ৬ দিনব্যাপী ক্র্যাক আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শহরতলীর রহিমপুরে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে স্মরণ মৎস্য হ্যাচারিতে ২৫ ডিসেম্বর শুরু হয় এ আর্ট ক্যাম্প। এটি এই আয়োজনের ১৩তম আসর।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪টি দেশের প্রায় ২০ জন শিল্পী এই আন্তর্জাতিক আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেন।
ক্যাম্পের কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করেন ভারতের শিল্পী ও কিউরেটর সুরেশ কে. নায়ার। বাংলাদেশসহ রাশিয়া, জাপান এবং ভারতের শিল্পীরা এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন।
এবারে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হচ্ছেন- জাপানের রেইকো সিমিজু, তামিকো তাকাহাসি, রাশিয়ার লাভরেন্টি রেপিন, ভারতের আশিস রাঠোর, বালাগোপালান বেথুর, সুভাষ কুমার মাসকারা, উর্মিলা বানু, শিরিন শেখ এবং বাংলাদেশের জুয়েল চাকমা, জয়া বড়–য়া, নাজমুল হোসেন নয়ন, এস এম রিয়াদ, সেমিনা ইশরাত, সুতপা বর্মন, শক্তি নোমান, সাদিয়া শারমিন এবং মো. সামিন শুভ।
২০০৭ সাল থেকে এই মাল্টিডিসিপ্লিনারি আর্ট ক্যাম্পটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। কুষ্টিয়ায় এই আর্ট ক্যাম্পটির সূচনা হয়েছিল বিভিন্ন ধরনের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে, শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দের নেতৃত্বে এবং শিল্পী দেলোয়ার হোসেনের আন্তরিক সহযোগিতায়। এই ক্যাম্পে শিল্পীরা প্রধানত সাইট-স্পেসিফিক ও ধারণামূলক আর্টওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছেন।
অংশগ্রহণকারীরা কুষ্টিয়া অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অঙ্গনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠি বাড়ি, লালনের ছেউড়িয়া, গোপিনাথ-জিউ মন্দির, মোহিনি মিল প্রভৃতি) ঘুরে দেখেছেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন আর্ট উপকরণ সংগ্রহ করেছেন তাদের শিল্পকর্মের জন্য।
ক্র্যাক তাদের দীর্ঘ এক যুগের চর্চায় এটি প্রমাণ করতে সফল হয়েছে যে, বাংলাদেশের চারুশিল্প চর্চার নিজস্ব পথ আছে। সেই পথ কেবল প্রাতিষ্ঠানিকতায় বিকশিত নয়। বরং জনপদের ইতিহাসের সাথে তার রয়েছে গভীর যোগাযোগ।
৩০ ডিসেম্বর দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ক্যাম্পের শিল্পকর্ম উন্মুক্ত করা হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পের সমাপ্তি করা হয়।
কুষ্টিয়া/কাঞ্চন/মাহি
রাইজিংবিডি.কম