ঢাকা     শুক্রবার   ২১ মার্চ ২০২৫ ||  চৈত্র ৮ ১৪৩১

সিলেটে যেভাবে অনুষ্ঠিত হলো ঈদের জামাত

আব্দুল্লাহ আল নোমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৫ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
সিলেটে যেভাবে অনুষ্ঠিত হলো ঈদের জামাত

হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ জামে মসজিদে ঈদের জামাত

চাঁদ রাত থেকেই সিলেটজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু। কখনও থেমে আবার কখনও মুষলধারে।

সোমবার (২৫ মে) সকালে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি থামে। ঈদের জামাতের পর পরই ফের শুরু হয় বর্ষণ। এমন বৃষ্টিমুখর দিনে ভিন্ন আমেজে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে সিলেটবাসী।

প্রতিবছর সিলেটে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে। তবে করোনা সংকটের কারণে খোলা মাঠে বা ঈদগাহে নামাজ বন্ধ থাকায় এবার ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ জামে মসজিদে।

সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজ শুরু করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আসজাদ আহমদ। নামাজের প্রথম রাকাতে তিনি সূরা কুরাইশ ও শেষ রাকাতে সূরা কাওসার তেলাওয়াত করেন। নামাজ শেষে ঈদের খুতবা পাঠ করেন। পরে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনার পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে মুক্তি লাভের জন্যে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দরগাহ মসজিদে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৯টায়। ওই জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা হুজাইফা।স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দ্বিতীয় জামাতেও অংশ নিয়েছেন সহস্রাধিক মুসল্লি।

এদিকে হযরত শাহ পরাণ রহ. মাজার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদেও দুটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত এক ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। তা ছাড়া, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা আবু হুরায়রা নোমান।

অন্যদিকে সিলেট কালেক্টরের জামে মসজিদে চারটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় এ জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া সিলেট নগরের সব মসজিদেই সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট নগর ছাড়াও জেলার সকল উপজেলায় কেন্দ্রীয় মসজিদগুলো এবং গ্রামের মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিছু মসজিদে একাধিক জামাতও অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে করোনাকালে ঈদের নামাজ আদায়ে আগত মুসল্লিদের মনও ছিলো বিষন্ন। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই বাসা থেকে নিয়ে আসেন জায়নামাজ। ঈদ জামাতেও দাঁড়িয়েছেন সামাজিক দূরত্ব মেনে। নামাজ শেষে দেখা যায়নি চিরায়িত মোসাফাহা আর কোলাকুলির দৃশ্যও।

সত্তরোর্ধ্ব প্রবীণ শামসুল হক আক্ষেপ করে বলেন, ‘জীবনের শেষ বয়সে এসে এমন ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে, খুব কষ্ট লাগছে। কেউ কারো সাথে কোলাকুলি করতে পারছিনা, মুসাফাহাও করতে পারছিনা।'


সিলেট/টিপু

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়