ঢাকা     রোববার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩১

সিনহা হত্যা: স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন ৪ পুলিশ সদস‌্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৩:৫৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
সিনহা হত্যা:  স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন ৪ পুলিশ সদস‌্য

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি চার পুলিশ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (কক্সবাজার সদর-৪) তামান্না ফারাহ’র আদালতে এই আসামিদের হাজির করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল ইসলাম।

আসামি চার পুলিশ সদস‌্য হলেন—  সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

এর আগে সকাল ১০টায় র‍্যাব হেফাজতে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামি ৪ পুলিশ সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এএসপি খাইরুল জানান, সিনহা হত্যা মামলার আসামি ৪ পুলিশ সদস্যকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিতে আদালতে হাজির করা হয়। পরে বিচারকের খাস কামরায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া শুরু হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, আদালতে হাজির করার পর প্রথমে সোয়া ১১টায় এএসআই লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল-মামুন এর জবানবন্দি নেওয়া শুরু হয়। এর আধাঘণ্টা পর কনস্টেবল কামাল হোসেন ও কনস্টেবল সাফানুর করিম এর জবানবন্দি নিতে খাস কামরায় হাজির করা হয়।

এর আগে প্রথম দফায় মামলার আসামি ৩ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পরে দ্বিতীয় দফায় মামলার প্রধান আসামি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত স্বীকারোক্তিমূলক নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিনজন সাক্ষীও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক দেন।

গত ৬ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় এসব আসামিদের ৪ দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। গত ২৪ আগস্ট আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল।

এর আগে গত ১২ আগস্ট আদালত মামলার আসামি এ ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রথম দফায় ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৪ আগস্ট তাদের র‍্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে রিমান্ড শেষে গত ২০ আগস্ট এসব আসামিদের আদালতে হাজির করে।

উল্লেখ‌্য, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট সিনহার বোন শাহরিয়ার শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

রুবেল/বুলাকী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়