হলুদ পদ্মে মুগ্ধ পর্যটক
ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দক্ষিণগ্রামের পদ্ম বিল। বিলে সাদা এবং গোলাপী পদ্মের সঙ্গে ফুটেছে হলুদ রঙের পদ্মফুল। বিরল প্রজাতির এই পদ্ম দেখতে দূর থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থী। তাদের উচ্ছ্বাস, বিলে নানা রঙের পদ্মের সমাহার এবং পাখির কিচিরমিচির মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছে।
এদিকে হলুদ পদ্ম ফুলকে বিরল প্রজাতি বলে মনে করছেন গবেষকরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক এই ফুল নিয়ে গবেষণা করছেন। উল্লিখিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর রাখহরি সরকার হলুদ রঙের এই পদ্মকে নতুন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী এই পদ্ম ফুলের পাঁপড়ির সংখ্যা এশিয়ান ও আমেরিকান শ্বেত কিংবা গোলাপী পদ্মের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি। পরাগধানীর আকৃতিও তুলনামূলক বড়। বাংলাদেশে এই প্রথম এমন পদ্ম ফুলের সন্ধান মিললো।
গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণগ্রামের এই বিলে ফুটছে মনোমুগ্ধকর দুই ধরনের শ্বেত ও গোলাপী পদ্মফুল। তবে এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হলুদ পদ্ম। তাই দর্শনার্থীদের কৌতূহলও বেশি। তবে, বিলের সৌন্দর্য রক্ষার দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা। পদ্মবিল দেখতে আসা খোরশেদ আলম, মাহফুজ নান্টুসহ অনেক দর্শনার্থী বলেন, বিলের সৌন্দর্য এবং ফুল রক্ষায় মাঝখান দিয়ে নৌকা চলাচলের নির্ধারিত লাইন করে দেওয়া জরুরি।
পদ্মবিলটি দর্শনার্থীদের কাছে পর্যটন স্পট হিসেবে গুরুত্ব পেলেও, আপাতত গবেষণাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। জায়গাটি সংরক্ষণ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল নিশান লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে দর্শনার্থীরা যত্রতত্র প্রবেশ করে ফুলগুলো নষ্ট না করেন। জানালেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। তিনি মনে করেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ হলে পদ্মফুলের এই নতুন জাত বাংলাদেশের উদ্ভিদ জগতে নতুন সংযোজন হবে। একইসঙ্গে এটি হয়ে উঠবে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
ঢাকা/তারা