ঢাকা     রোববার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩১

সিনহা হত্যা: কক্সবাজারের এসপিকে আসামি করার আবেদন খারিজ

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৩:৩০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
সিনহা হত্যা: কক্সবাজারের এসপিকে আসামি করার আবেদন খারিজ

ফাইল ছবি

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আসামি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করতে মামলার বাদী মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের দায়ের করা আবেদনটি খারিজ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।

ফরিদুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার এ মামলার নির্ধারিত দিন ধার্য‌্য ছিল না। এরপরও একটি আবেদন করলে আদালতে তার শুনানী হয়েছে। বাদীর গৃহীত পদক্ষেপ তদন্তাধীন মামলার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায় আদালত বাদীর আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

এ নিয়ে আদালত বলেছেন, তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে কেউ প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা তদন্তকারি কর্মকর্তার হাতে রয়েছে।

ফরিদুল আলম বলেন, ‘সিনহা হত্যা মামলায় অনুরূপভাবে এপিবিএনের তিন সদস্য এবং পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার জ‌্যেষ্ঠ বিচারিক আদালত (সদর-৪) তামান্না ফারাহ’র আদালতে এই আবেদনটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানান- যে কোনো সময় এই আদেশ হতে পারে। মূলত সিনহা হত্যার আগে ও পরে পুলিশ সুপারের সঙ্গে আসামিদের যোগাযোগ ছিলো। তিনি আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা করছেন। তাই বাদী মনে করছেন, পুলিশ সুপারকে এই মামলায় আসামি করা জরুরি।

মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস একই কথা জানিয়ে ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা করছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় নয় জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। 

মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবকে দেওয়া হয়। গত ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পুলিশের সাত সদস্য। গত এক মাসে র‌্যাব এপিবিএন’র তিন সদস্য, পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে আটক করে মোট ১৩ জনকে নানা মেয়াদে রিমান্ডে নেওয়া হয়। 

১২ জন আসামি এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরমধ্যেই আজ (বৃহস্পতিবার) আদালতে নতুন আবেদনটি করলেন মামলার বাদী।

সুজাউদ্দিন রুবেল/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়