ওসি পরিচয়ে টাকা নিতো বিকাশে
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মো. ওসমান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদ
গাজীপুর ও নরসিংদীর বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কিংবা ওসি (তদন্ত) পরিচয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. ওসমান ওরফে জাহিদুল ইসলাম ওরফে সহিদ (৩৩) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রতারণার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। ওসমানের স্ত্রীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও সাতটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মো. ওসমান ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের মো. রুশমত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীরা অভিযোগ করেছেন, কিছু দিন ধরে ওসমান নিজেকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ, পূবাইল, টঙ্গী, কোনাবাড়ি ও শ্রীপুর এবং নরসিংদীর পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কিংবা ওসি (তদন্ত) হিসেবে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, ধনাঢ্য ব্যক্তি ও রাজনীতিকদের ফোন করত। গ্রামের বাড়িতে নিজ উদ্যোগে একটি মাদ্রাসা নির্মাণের কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতো সে। এ কাজে গ্রাম পুলিশদের ব্যবহার করত ওসমান।
সম্প্রতি কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুল ইসলামের পরিচয়ে স্থানীয় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ওসমান। প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়লে ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন মোয়াজ্জেম হোসেন। পরে কালীগঞ্জ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে গাজীপুরের মীরের বাজারের রেল ক্রসিং এলাকা থেকে ওসমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে ওসমানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার স্ত্রী শিরিন আক্তারের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকাসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন ও সাতটি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি জানান, ওসমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রফিক সরকার/রফিক