ঢাকা     শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৩ ১৪৩১

পাকা সেতুতে ওঠার ভরসা বাঁশের সাঁকো

অদিত্য রাসেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ১ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:৫২, ১ নভেম্বর ২০২০
পাকা সেতুতে ওঠার ভরসা বাঁশের সাঁকো

পাকুরতলা খাল। এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘদিন আগে পুননির্মাণ করা এক সেতু। কিন্তু সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় বাধ্য হয়েই এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বাঁশের সাঁকো।

সেই বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পাকুরতলা সেতু দিনের পর দিন পার হচ্ছেন আশপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এভাবে প্রতিদিন হাট-বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করে থাকেন তারা। এতে  বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

সেতুটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি এলাকায় রূপসী-পাকুরতলা সড়কে অবস্থিত।

আরো পড়ুন:

স্থানীয়রা জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অর্থায়নে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট কংক্রিট সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর, ঘাটাবাড়ি, পাকুরতলা, বাঐখোলা ও কুঠিরপাড়ার পাঁচ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে সেতুটি পার হচ্ছেন।

সেতু দিয়ে চলাচলকারী জালালপুর গ্রামের আসাদ আলী, পাকুরতলা গ্রামের আব্দুল হামিদ বলেন, ‘দুই বছর ধরে আমরা যাতায়াতে চরম কষ্ট পোহাচ্ছি। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও স্কুলগামী শিশুদের যাতায়াতে বেশি কষ্ট হচ্ছে।’

পাকুরতলা গ্রামের দুলাল শেখ, রবি চান ও আলম শেখ জানান, সেতুটি নির্মাণের পর দায়সারাভাবে সামান্য মাটি ফেলা হয়। ফলে বর্ষার শুরুতেই তা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর দুই বছর ধরে স্থানীয়রা এ সেতুর দুই পাশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপারে পয়সা তুলছেন। এতে কষ্ট করে যাতায়াত করা গেলেও অর্থদণ্ড লাগছে।

কুঠিরপাড়ার মুদি দোকানদার আমজাদ আলী বলেন, ‘দুই বছর ধরে এ সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় এ সেতু দিয়ে সরাসরি কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ধান, চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ভারি বোঝা মাথায় করে পার হতে হয়। এতে আমাদের খুবই কষ্ট হয়। এজন্য সেতুটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জোর দাবি পাঁচ গ্রামের মানুষের।’

জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, সেতুটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির চাপে তা ভেঙে গেছে। ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে আবারও মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।

শাহজাদপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান,সেতু পার হতে টাকা তোলা হচ্ছে বিষয়টি জানা নেই। এছাড়া সেতুটি নির্মাণের পর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। কিন্তু বন্যার পানির তীব্র চাপে তা ভেঙে গেছে। পানি সরে গেলে অতিদ্রুত মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে দেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়