দলীয় কার্যালয় ছেড়ে ব্যক্তিগত অফিসে কাদের মির্জা
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ছেড়ে দিয়েছেন বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুর কাদের মির্জা।
কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী কমিটিতে সদস্য পদে থাকলেও দিনের বেশিরভাগ সময় এই কার্যালয়ে বসে দলের ও মেয়রের দাপ্তরিক কাজ করতেন।
গত মাসে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে আলোচনায় আসেন কাদের মির্জা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই তিনি। বসুরহাট পৌরসভায় মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা বক্তব্য দেন তিনি।
ভোটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় দফায় মেয়র হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগ নেতাদের সমালোচনা করে আসছিলেন তিনি। এর মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে হরতালও পালন করেছেন আবদুল কাদের মির্জা।
ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে তার ‘মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মিছিল বের করেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীরা। কাদের মির্জার অনুসারীরা বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এ সময় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ সাতজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও অন্তত ২৫ জন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুজাক্কিরের মৃত্যু হয়। এ সব নানা বিষয় নিয়ে দলের মধ্যে ও বাইরে চাপের মুখে থাকা কাদের মির্জা দলীয় কার্যালয় ছেড়ে দিলেন।
সোমবার (১ মার্চ) বসুরহাট রূপালী চত্বরে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সব আসবাবপত্র ও মালামাল কাদের মির্জা পাশের ভবনে ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে গেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে কাদের মির্জা বলেন, ‘ওই কার্যালয় ভবনের মালিকদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আজ (সোমবার) থেকে আমি বসুরহাট রূপালী চত্বরের আলেয়া টাওয়ারে ব্যক্তিগত অফিসে বসবো। তাই আমার কেনা আসবাবপত্র ও মালামালগুলো নিয়ে এসেছি।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অপরাজনীতির সঙ্গে আমি নেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস কোথায় হবে তা একমাত্র ওবায়দুল কাদের জানেন।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী বলেন, ‘কাদের মির্জা দলীয় কার্যালয়ের যে সব আসবাবপত্র ও মালামাল তার ব্যক্তিগত অফিসে নিয়ে গেছেন, তা পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নামে কেনা। উনি এ সব ব্যক্তিগতভাবে নিয়ে যেতে পারেন না।’
সুজন/বকুল