কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে আদালতে পিটিশন গ্রহণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গুলিতে নিহত যুবলীগ কর্মী আলাউদ্দিন হত্যা মামলার ঘটনায় আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে থানায় এ ঘটনায় কোনো হত্যা মামলা হয়েছে কী না তা জানাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪নং আমলী আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু রোববার (১৪ মার্চ) দুপুরে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে এ মামলা দাখিল করেন। আদালত বিকেল ৩টায় শুনানির সময় নির্ধারণ করেন। পরে বিকেলে শুনানি শেষে আদালত মামলা গ্রহণপূর্বক উল্লেখিত আদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, আদালত পিটিশন মামলা (নং ১৬৮/২০২১) গ্রহণপূর্বক একই বিষয়ে কোনো হত্যা মামলা কোম্পানীগঞ্জ থানায় হয়েছে কী না সেটা আগামি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বিকেলে শুনানীর সময় নির্ধারণ করেন আদালত।
গত মঙ্গলবার (৯ মার্চ) গুলিতে নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় নিয়ে যান। এজাহারে ত্রুটি থাকার অযুহাতে পুলিশ এজাহার গ্রহণ করেনি বলে এমদাদ সাংবাদিকদের জানান। পরে শুক্রবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা না নেয়ায় আজ রবিবার আদালতে মামলা করা হয়।
এদিকে মামলার বাদী এমদাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আদালতে আসতে আমাকে পাহারা দেয়া হয়েছে। অনেক কৌশল করে আসতে হয়েছে। এখন আমি কেন ভাই হত্যার বিচার দাবি করছি তাই তাদের টার্গেট আমি। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
পুলিশ মামলা না নেয়ায় নিহত আলাউদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তারা অভিযোগ করেন মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নাম বাদ দেয়া হলে মামলা নেয়া হবে। ওই নাম বাদ না দেয়ায় মামলা নেয়নি পুলিশ।
সুজন/আমিনুল