সিলেটের ঈদ জামাতে ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট || রাইজিংবিডি.কম
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহে ঈদের জামাত হয়নি। বিভাগীয় এ শহরে ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ জামে মসজিদে।
সকাল সাড়ে ৮টায় নামাজে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা হুজায়েফা। নামাজ শেষে খুতবা পাঠ করা হয়। পরে করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য মহান আল্লাহর কাছে কান্নাবনত মস্তকে দোয়া করা হয়।
দোয়া করা হয় ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের হেফাজতের জন্যও। একইসঙ্গে এক মাস সিয়াম সাধনার পর নাজাতের জন্যও দোয়া করা হয়।
দরগাহে নামাজ পড়েন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। নামাজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি নগরবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। মেয়র নগরবাসীকে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরিধান এবং অযথা বাইরে ঘোরাফেরা না করার অনুরোধ করেন।
হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার জামে মসজিদেও সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সময়ে জর্জকোর্ট জামে মসজিদ, সিলেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জিন্দাবাজারের বায়তুল আমান জামে মসজিদ, সুবহানীঘাট কাঁচা বাজার জামে মসজিদ, নয়াসড়ক জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিবছরের মতো বন্দরবাজারের কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে এবারও তিনটি ঈদ জামাত হয়েছে। এ মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম জামাত, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় এবং সাড়ে ৯টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল ৭টা থেকে এক ঘণ্টা পরপর চারটি এবং গাজী বুরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার মসজিদে সকাল পৌনে ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাছাড়াও নগরী এবং জেলার সকল উপজেলার সব পাড়া-মহল্লার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনার কারণে সব মসজিদে ছিল স্বাস্থ্যবিধির অনুসরণ। মুসল্লিরা নিজ বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে ঈদ জামাতে আসেন। নামাজ শেষে দেখা যায়নি কোলাকুলি আর মুসাফাহারও চিত্রও। ঈদ ঘিরে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নোমান/বকুল