সাতক্ষীরায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ, আতঙ্কে উপকূলবাসী
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারণে সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার কয়েকটি এলাকায় লাল পতাকা উড়িয়ে ঝড়ের সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। সাতক্ষীরার উপকূলে ৪৩টি পয়েন্টে নদীর বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে খোলপেটুয়া নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামীকাল (২৬ মে) বুধবার দুপুরে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে ওড়িশার পারাদ্বীপ ও পশ্চিমবঙ্গের দিঘার মধ্যে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছ দিয়েই ইয়াস অতিক্রম করতে পারে। তবে এর প্রভাব উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার পড়তে পারে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, উপকূলীয় এলাকায় পাউবোর ১২৫ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত করা হয়েছে, যাতে পানি ঢুকতে না পারে। তারপরও দুর্বল স্থানগুলোতে মাটি দিয়ে উঁচু করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আশাশুনি উপজেলায় পাউবোর ৮০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এসব স্থানে মাটি ফেলা হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব বড় জলোচ্ছ্বাস না হলে অসুবিধা হবে না। ’
সাতক্ষীরা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বাবলু রেজা বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় ১ হাজার ৬৪৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাত উপজেলার প্রতি উপজেলায় ৫টি ও ৭৮টি ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৩টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।’
শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজার গিফারি জানান, ইয়াস আঘাত আনতে পারে এমন আশঙ্কায় উপজেলার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয়, এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএস মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলায় ১৪৫টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১ হাজার ৬৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য পর্যাপ্ত নৌযান, যানবাহন ও উদ্ধার সামগ্রী প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। জেলা প্রশাসন সব সময় সজাগ থেকে বরাবরের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন:## প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ শক্তি বাড়াচ্ছে
## ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াসে’র প্রভাবে বাগেরহাটে নদীর পানি বেড়েছে
##দিঘা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’
শাহীন গোলদার/ইভা