ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন, মৃত ৪ হরিণ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৭ মে ২০২১   আপডেট: ১১:২৯, ২৭ মে ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন, মৃত ৪ হরিণ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ঠ জলোচ্ছ্বাস ও প্রবল বাতাসে সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ৫-৬ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কয়েকটি জলযান, ওয়াচ টাওয়ার, গোলঘর, রাস্তা, ফুট রেইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং জোয়ারের পানিতে ডুবে মারা গেছে অন্তত চারটি হরিণ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদী ও খালে পানি বাড়তে থাকে। বুধবার প্রায় ৫-৬ ফুট পানি উঠে যায় সুন্দরবনে। পানির তোড়ে পূর্ব সুন্দরবনের ১৯টি জেটি, ৬টি জলযান (ট্রলার) দুটি গোলঘর, একটি ফুট রেইল, একটি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি স্টাফ ব্যারাক ও একটি রেস্ট হাউজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্তত দশটি অফিসের টিনের চালা উড়ে গেছে। সুন্দরবনের মধ্যে সুপেয় পানির সংস্থান হিসেবে পরিচিত ৯টি পুকুরে লবণ পানি প্রবেশ করেছে। সুন্দরবন থেকে দুটি এবং লোকালয় থেকে ২টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের দুটি কুমিরের শেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই হিসেবে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের অন্তত ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে সুন্দরবনের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজলের কোনো প্রাণীর ক্ষতি হয়নি।

সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও বাতাসে কুমিরের দুটি শেড নষ্ট হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্য প্রাণিগুলোকে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়েছে। এ যাত্রায় কোনো বন্যপ্রাণীর ক্ষতি হয়নি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের কারণে বনে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। এই পানিতে বনের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী রাজেশ্বরে একটি হরিণের, উত্তর তাফালবাড়িতে একটি, সুন্দরবনের দুবলা ও কচিখালী এলাকায় একটি করে হরিণের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত আর কোনো বন্যপ্রাণী মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে, সেব দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, ‘প্রতিটি ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে। তবে আমাদের রক্ষা করলেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয় সুন্দরবন। ইয়াসের প্রভাবে এখন পর্যন্ত ৪টি হরিণ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

টুটুল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়