খুলনায় ভেসে গেলো ৭ হাজার মৎস্য ঘের, ক্ষতি সাড়ে ৮ কোটি টাকা
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনা জেলায় চিংড়িসহ ৭ হাজার ৯৪টি মাছের ঘের লবণ পানিতে ভেসে গেছে।
এতে প্রাথমিকভাবে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বুধবার (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনা জেলার উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়রা উপজেলার মাছের ঘের।
জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্র জানান, ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনা জেলায় ৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৫৬ মেট্রিক টন সাদা মাছ ও ২ কোটি ২৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৫৮.৫ মেট্রিক টন চিংড়ি লবণ পানিতে ভেসে গেছে।
এছাড়া, ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ১৮ লাখ চিংড়ির পিএল (পোনা), ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ১২ লাখ সাদা মাছের পোনা ও কয়রা উপজেলায় ৬০ লাখ টাকা মূল্যের কাঁকড়া ও কুঁচিয়া মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া ৪৭ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র মতে, জলোচ্ছ্বাসে মৎস্যখাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়রা উপজেলা। এ উপজেলায় চিংড়িসহ ২ হাজার ১০০টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ক্ষতি হয়েছে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনা জেলায় প্রাথমিকভাবে চিংড়িসহ ১ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির মাছের ঘের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে চিংড়িসহ ৭ হাজার ৯৪টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে অবকাঠামোসহ প্রাথমিকভাবে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিপূর্ণভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করার পর ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের তালিকা করে বিনামূল্যে পোনা সরবরাহসহ সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
খুলনা/বুলাকী