মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর
চট্টগ্রাম বন্দরের অধীন কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ৭৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মহেষখালীর ধলঘাটা মৌজায় দুটি পৃথক মামলায় ১৫৯.৩৩ একর এবং ১২৩.৯০ একর হুকুম দখল করা ভূমির মূল্য পরিশোধ বাবদ কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে এই চেক হস্তান্তর করা হয় বুধবার (২ জুন)। এর মাধ্যমে দেশের বহুল প্রত্যাশিত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কার্যক্রম আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাইজিংবিডিজে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, মাতারবাড়ি গভীর সমূদ্র বন্দর নির্মাণে দ্রুত গতিতে কাজ করে যাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে এর অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। বন্দরের জন্য বিস্তৃত এলাকাজুড়ে স্থলভূমির প্রয়োজন রয়েছে। এই লক্ষ্যে মহেষখালীর ধলঘাট মৌজায় দুটি পৃথক মামলায় প্রায় ২৮৩ একর ভূমি অধীগ্রহণ করা হয়। এই ভূমির মূল্যের পাশাপাশি এসব ভূমিতে থাকা অবকাঠামো, গাছপালা, গভীর নলকূপ এবং আনুষাঙ্গিক খরচ বাবদ ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৫ টাকার চেক কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ৪১ কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ১১৮ টাকা এবং অপর মামলায় ৩৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ১৫৭ টাকা পরিশোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, জাপান সরকারের ২ হাজার ৬৫৫ মিলিয়ন ইয়েনের ঋণ সহায়তায় মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৬ মিটারের বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভেড়ানোর মাধ্যমে এই বন্দর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের শিপিং বাণিজ্যের হাব হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৯ মিটার বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ার সক্ষমতা নেই। এখন প্রায় দ্বিগুণ সক্ষমতা নিয়ে নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর।
চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী