ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

সাতছড়িতে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৫ জুন ২০২১  
সাতছড়িতে লজ্জাবতী বানর অবমুক্ত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় বিরল প্রজাতির একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় এ সব তথ্য জানান সাতছড়ি বন্যপ্রাণি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন।

রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, চুনারুঘাট উপজেলার আমতলীর কনা মিয়ার বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে লজ্জাবতী বানরটি স্থানীয়রা দেখতে পায়।
এ খবর পেয়ে তারা দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বানরটি উদ্ধার করেন। পর্যবেক্ষণের পর বিকেলে সেটি সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অবমুক্ত করা হয়।

হবিগঞ্জের সন্তান সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জাতীয় পরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, লজ্জাবতী বানর পৃথিবীতে প্রাপ্ত বানর গোত্রীয় প্রাণিদের মধ্যে অন্যতম। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের বেশি দেখা যায়। লজ্জাবতী বানর বিভিন্ন আকারের হয়। তাদের গড় ওজন মাত্র ১০ আউন্স। আর সবচেয়ে বড় প্রজাতির লজ্জাবতী বানর এ দেশের রেমা-কালেঙ্গা ও সাতছড়ির গভীর অরণ্যে পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ২ কেজি আর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ইঞ্চি। তাদের দেহ পশমে আবৃত। প্রজাতিভেদে গায়ের রঙ ধূসর, বাদামি, হলুদ, লাল অথবা সোনালি হয়। এরা নিশাচর হওয়ায় চোখের আকৃতি ও অবস্থান অন্যান্য প্রাণিদের থেকে আলাদা ও প্রখর দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন। অন্যান্য প্রাণিদের তুলনায় এদের ঘ্রাণশক্তিও তীব্র, যা তাদের শিকার ধরতে সাহায্য করে। একটি লজ্জাবতী বানর সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, লজ্জাবতী বানর সাতছড়ি বনের ঐতিহ্য বহন করছে। এ বনে প্রাণিটির বিচরণ রয়েছে। পর্যটকরা এ প্রাণিটি দেখতে বনের গহিনে প্রবেশ করেন। দেখে মনে তৃপ্তি পান। এ বনের ন্যায় রেমা-কালেঙ্গার বনেও প্রাণিটির বসবাস রয়েছে। তিন দিনে উদ্ধার হওয়া আরও ৩টি লজ্জাবতী বানর নতুন করে এ বনের বাসিন্দা হলো।

মামুন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়