ঢাকা     বুধবার   ২০ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৫ ১৪৩১

অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি; বেরোবির ৪ ছাত্রকে আদালতে প্রেরণ

রংপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১১, ৬ জুন ২০২১  
অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি; বেরোবির ৪ ছাত্রকে আদালতে প্রেরণ

ঢাকার সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আসাদুজ্জামান আসাদকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চার ছাত্রকে গ্রেপ্তারর করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রোববার (৬ জুন) বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান প্রধান রাইজিংবিডিকে আদালতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লালমনিহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ জাওরানী গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে শাহ আলম সাদেক, কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা গ্রামের পুলিন চন্দ্রের ছেলে বেরোবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের ছাত্র জগতপতি, পঞ্চগড়ের অটোয়ারী উপজেলার মংলু চন্দ্রের ছেলে বেরোবির ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র দুলাল চন্দ্র এবং নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার উত্তর খড়িবাড়ী গ্রামের কলিমুদ্দিন মন্ডলের ছেলে বেরোবির ইংরেজি বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের ছাত্র মানিক রহমান সাজু।

আরো পড়ুন:

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫/৬ জন শিক্ষার্থীর চক্র অনেক দিন ধরে ফেসবুকে সিনথিয়া নামে একটি ফেক আইডি ব্যবহার করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবকদের আটকিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ আদায় করতেন। 

মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, শনিবার (৫ জুন) দুপুরে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার খরিবাড়ী গ্রামের রোকোনুজ্জামানের ছেলে আসাদকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটরিয়ায় যেতে বললে তিনি সেখানে যান। সেখানে গিয়ে পূর্বপরিচিত মানিকসহ কয়েকজনকে দেখতে পান। মানিক অন্যদের সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পশ্চিমদিকে জঙ্গলঘেরা স্থানে আসাদকে আটকে রেখে মারপিট করেন এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে। বিকাশের মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা দিলে বিকেলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

ছাড়া পেয়ে তাজহাট থানায় মামলা করেন আসাদ। পরে সন্ধ্যায় নগরীর সরদারপাড়া থেকে তিনজন এবং রাতে একই এলাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

চার শিক্ষার্থী আটকের বিষয়ে বেরোবির প্রক্টর মো. গোলাম রব্বানী রাইজিংবিডিকে বলেন, ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে ঘটেছে। কোনো শিক্ষার্থী অপরাধ করে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আর যদি দোষী না হয়, তাহলে যেন তারা হয়রানির শিকার না হয়। 
 

আমিরুল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়