মামলার এজাহারে যে বর্ণনা দিয়েছেন পরীমনি
সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দীন মাহমুদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অভিনেত্রী পরীমনি। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে সাভার থানায় এই মামলা দায়ের হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করলেন পরীমনি
সাভার থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরীমনি বাদী হয়ে মোট ছয় জনের নামে মামলা করেছেন।’
আরও পড়ুন: বোট ক্লাবে কী ঘটেছিল, সব জানালেন পরীমনি
আরও পড়ুন: বোট ক্লাবে রাতে পরীমনি যেভাবে ফোন ফেরত পেয়েছিলেন
পরীমনি মামলার এজাহারে লিখেছেন, ‘নাসির উদ্দীন মাহমুদ (৫০), অমি (৪১) এবং অজ্ঞাতনামাসহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করছি যে, ৮ জুন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় আমার বর্তমান ঠিকানার বাসা থেকে আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি, অমি, বনিসহ দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথিমধ্যে অমি বলে, বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাব লিমিটেডে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো আমরা ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। পরে অমি অনুরোধ করে, এখানে পরিবেশ সুন্দর তোমরা নামলে নামতে পারো। আমরা ঢাকা বোট ক্লাবে ঢুকে টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট থেকে বের হওয়ার পর ১নং আসামি নাসির উদ্দীন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ ১নং আসামি মদ্যপান করার জন্য জোর করেন।’
পরীমনি এজাহারে আরও বলেছেন, ‘মদ্যপান করতে না চাইলে ১নং আসামি জোর করে আমার মুখের মধ্যে মদের বোতল ঢুকিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁত ও ঠোঁটে আঘাত পাই। ১নং আসামি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করেন এবং আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ১নং আসামি উত্তেজিত হয়ে টেবিলে রাখা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারেন। তখন আমার কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ১নং আসামিকে বাধা দিতে চাইলে তাকেও মারধর করেন। এ সময় আমি ৯৯৯–এ কল করতে গেলে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি টান মেরে ফেলে দেওয়া হয়। ২নং আসামি ও অজ্ঞাতনামা চারজন ১নং আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহায়তা করেন।’
আরও পড়ুন: আমাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা হয়েছে: ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরীমনি
আরও পড়ুন: পরীমনির নিরাপত্তায় পুলিশ
এজাহারে পরীমনি আরও বলেছেন, ‘আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো। ২নং আসামি অমি পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে আমার বর্তমান বাসা থেকে ঢাকা বোট ক্লাবে নিয়ে যায় এবং অমি ও অজ্ঞাতনামা চারজন আসামির সহায়তায় ১নং আসামি নাসির উদ্দীন মাহমুদ আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমার সঙ্গীদের সহায়তায় ধর্ষকের হাত থেকে রক্ষা পাই। আনুমানিক রাত ৩টার সময় আমার গাড়িযোগে প্রায় অচেতন অবস্থায় আমার সঙ্গীদের সঙ্গে ফিরে আসি।’
আরও পড়ুন: পরীমনির এই কান্না মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে: ভাবনা
আরও পড়ুন: পরীমনির ঘটনায় জয়ার প্রশ্ন
পরীমনি মামলায় অভিযোগ করেন, ‘আসামিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছেন। ওই বিষয়ে আমি আমার পরিবার, শিল্পী সমিতি ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করায় এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হলো।’
আরও পড়ুন: পরীমনিকে নিয়ে অনিমেষ আইচের স্ট্যাটাস
সাব্বির/বকুল