ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৪ ১৪৩১

লকডাউনে কুমিল্লা মহাসড়কে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫১, ২৯ জুন ২০২১   আপডেট: ২২:৫৩, ২৯ জুন ২০২১
লকডাউনে কুমিল্লা মহাসড়কে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশে তিন দিনের সীমিত পরিসরে লকডাউন চলছে। এই লকডাউন চলাকালে রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তবে এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে। 

মঙ্গলবার (২৯ জুন) মহাসড়কে দেখা গেছে, বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই চলাচল করছে। দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল, লকডাউনেও যেন ব্যস্ত মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ। এছাড়া সব স্থানেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীবহন করেছে অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, কাভার্ডভ্যান, পিকআপ, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। 

যাত্রীদের অভিযোগ, চালকরা লকডাউনের দোহাই দিয়ে তাদের কাছ থেকে আদায় করছেন দুই থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া।

দুপুরে মহাসড়কের পদুয়ার বাজার, আলেখারচর, চান্দিনা বাস স্ট্যান্ড, নিমসার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, মারুতি মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, পিকআপ এমনকি মোটরসাইকেলেও অবাধে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। 

যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে চালকরা একেবারেই উদাসীন। মাইক্রোবাস, মারুতিসহ অন্যান্য পরিবহনে দুই জনের সিটে চার জন করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে শুধু বাস ছাড়া সব যানবাহনই চলাচল করছে।

আরও দেখা গেছে, লকডাউনে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অবৈধ যানবাহনগুলো যাত্রী পরিবহনে নেমে পড়েছে। অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার দিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। জেলার ভিতরের যাত্রীদের বহনে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ফিটনেসবিহীন মারুতি মাইক্রোবাস, পিকআপ চলাচল করছে। এসব এলাকায় ঢাকায় যাত্রী বহন করতে সারি সারি প্রাইভেট পরিবহন দাঁড়িয়ে ছিল।

চান্দিনা এলাকায় মাইক্রোবাস চালক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘এখন প্রাইভেট ভাড়া নেই। তাই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। পুলিশকে ম্যানেজ করেই ঢাকায় যাত্রী নিচ্ছি।’

যাত্রী অহিদুর রহমান বলেন, ‘ঢাকায় জরুরি কাজ আছে। তাই দুশ’ টাকার ভাড়া পাঁচশ’ দিয়ে মাইক্রোবাসে উঠেছি। ১১ জন যাত্রী আছে। চালক বলেছে- পুলিশ ধরলে আমরা বলব সবাই এক পরিবারের সদস্য।’

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমরা মহাসড়কে চেক পোস্ট বসিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। বিদেশগামী যাত্রী ও রোগী ছাড়া কোনো প্রাইভেট পরিবহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’

আবদুর রহমান/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়