ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১

বৃষ্টি, যানজটে চরম দুর্ভোগে ঘরমুখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৯, ২০ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৪:৪৮, ২০ জুলাই ২০২১

সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে যানজট। যানজট আর বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছেন হাজারও মানুষ। গত কয়েক দিনের মতো আজও মহাসড়কে রয়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকালে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দেখা যায় যানবাহনের চাপ। বিশেষ করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় উত্তরবঙ্গের শত শত মানুষ এখনও রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। 

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর আবারও লকডাউনের কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে। এ কারণে শেষ মুহূর্তে অনেকেই গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বেশিরভাগ মানুষ পরিবারের সব সদস্যদের নিয়ে রওনা হয়েছেন। ভাড়া বেশি হওয়ার স্বল্প আয়ের এসব মানুষ গাদাগাদি করে ট্রাক ও পিকআপে করে রওনা দিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

রংপুরের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন তিন বন্ধু সাত্তার, সোহেল ও মারুফ। তারা বলেন, গতকাল অফিস ছুটি হয়েছে। ভেবেছিলাম আজ রাস্তা ফাঁকা থাকবে। কিন্তু সকাল থেকে যানজটে আটকে থেকে মাত্র চন্দ্রা আসলাম। এরমধ্যেই বৃষ্টি। এখন কী হবে আল্লাহই জানে।’

টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার চকদাহ গ্রামে যাবেন রোজিনা ও তার মা।  রোজিনা বলেন, ‘ভোর ৬টায় চেরাগআলী থেকে রওনা হয়েছি। চন্দ্রা পর্যন্ত আসতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেগেছে। দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজে গেছি। এখন কীভাবে যাবো এই বৃষ্টির মধ্যে।’

পরিবার নিয়ে নাটোরের বনপাড়া যাবেন আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস ছুটি দিয়েছে ৬ দিন। তাই ভেবেছিলাম, করোনার এমন পরিস্থিতির মধ‌্যে আর বাড়ি যাবো না। কিন্তু রাতে খবরে শুনলাম ৫ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন। তাই পরিবার নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি যাচ্ছি।’

সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ।এরমধ‌্যে  বৃষ্টি। জিরানী থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত যানজট আছে। বৃষ্টি শেষ হলে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

রেজাউল করিম/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়