ঢাকা     শনিবার   ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২০ ১৪৩১

খুলনায় গণটিকার জন্য ৩০৭ বুথ প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৬, ৬ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৭:৩২, ৬ আগস্ট ২০২১
খুলনায় গণটিকার জন্য ৩০৭ বুথ প্রস্তুত

খুলনা মহানগর ও উপজেলাগুলোতে করোনার গণটিকা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৩০৭টি বুথ। যেখানে নগরসহ গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষ নিজ এলাকায় টিকা গ্রহণ করতে পারবেন।

টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণসহ প্রতিটি জায়গায় চালানো হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা। সংশ্লিষ্টরা জানান, নগর এলাকার ৩১টি ওয়ার্ডের ৩১টি কেন্দ্রে ৯৩টি বুথ রাখা হচ্ছে। আর জেলার ৯টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের ৬৮টি কেন্দ্রের ২০৪টি বুথ এবং দু’টি পৌরসভায় ১০টি বুথ করা হচ্ছে।

নগরসহ খুলনা জেলায় মোট ৩০৭টি বুথের প্রতিটিতে প্রতিদিন ২০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। গ্রামপর্যায়ে গণটিকার প্রথম দফায় জেলায় মোট ৩ লাখ ৬৮ হাজার ৪০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নারী-পুরুষ জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া নগর, জেলা ও উপজেলার পূর্বনির্ধারিত হাসপাতালে নিবন্ধিত ব্যক্তিদের যথানিয়মে প্রতিদিন টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলবে। নগর এলাকায় ওয়ার্ড অফিস ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা কাউন্সিলরের পছন্দমতো জায়গায় কেন্দ্র খোলা হবে। ইউনিয়ন পর্যায়েও পরিষদ ভবন, বিভিন্ন বিদ্যালয় বা জনগণের সুবিধামতো স্থানকে কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হবে। প্রতিটি বুথে দু’জন টিকাদানকারী ও তিনজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। আর প্রতি তিনটি বুথে একজন করে সুপারভাইজার থাকবেন।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকার বিষয়ে অনেকের দুশ্চিন্তা ছিল। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকাও বুধবার খুলনায় পৌঁছেছে। এতে দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার মানুষের অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে যাচ্ছে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, খুলনা জেলা ও সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে মোট ৩০৭টি বুথে প্রতিদিন ২০০ করে টিকা দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা আমাদের কাছে পর্যাপ্ত রয়েছে। আগামী ৭ তারিখ থেকে প্রায় সবাইকে ম্যাসেজ অনুযায়ী আমরা এই টিকার ২য় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু করবো। খুলনায় টিকার কোন ঘাটতি নেই বলে জানান ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ।

এদিকে টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। গ্রামের সাধারণ মানুষরাও নিবন্ধনের জন্য ছুটছেন ইউনিয়ন পরিষদ বা বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে।

খুলনা/নূরুজ্জামান/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়