বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও`র ওপর হামলা, আটক ৩
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বগুড়ার করোনা বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শফিক আমিন কাজল সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে ডাক্তার কাজলকে তার বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহরের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হামলা চালানো হয়। এঘটনায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ২টি মটর সাইকেলসহ তিনজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন- শহরের আলিফ ক্লিনিকের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক বিপ্লব, শহরের জুবলি হাইস্কুলের সহকারি শিক্ষক হারুনার রশিদ ও শহরের নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী নাজমুস সাকিব।
ডা. কাজল জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তাঁর গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার আটমূল গ্রামে যান কয়েকজন ব্যক্তি। তারা সেখানে ডা. কাজলের পৈত্রিক জায়গায় নির্মিত দোকানে গিয়ে ওইসব দোকান নিজেদের বলে দাবি করেন এবং দোকানের ভাড়া ডাক্তার কাজল বা তার পরিবারকে দিতে নিষেধ করেন। দোকানিরা বিষয়টি ডা. কাজলকে জানালে তিনি ওই লোকদের পরিচয় জানতে চান। তখন একজনের সাথে মোবাইল ফোনে তাকে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে নিজেকে আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশের (এপিবিএন) পরিদর্শক মনির পরিচয় দিয়ে ডা. কাজলের বাসার ঠিকানা জেনে নেন। তারা ডাক্তারের বাসায় গিয়ে এবিষয়ে কথা বলতে চান। বিকেলে ৫টার দিকে উপশহরে এলাকায় তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৬ জন তার বাসার সামনে যান। তাদের একজনের মোটরসাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিলো। ডা. কাজলকে তারা বাসা থেকে ডেকে বের করে গ্রামের ওই জমিটি তাদের বলে দাবি করেন। তিনি তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় ডা. কাজল তার মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করতে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ডা. কাজলকে মারপিট শুরু করেন।
এসময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানায় এবং ২টি মোটরসাইকেলসহ হামলাকারীদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ পরিদর্শক পরিচয়দানকারী মনিরসহ তিনজন অপর একটি মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান।
এদিকে বগুড়া আমর্ড ব্যাটালিয়ন পুলিশের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ছকির উদ্দিন জানান, মনির নামে তাদের কোন পুলিশ পরিদর্শক নেই।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী জানান, বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ডা. কাজল এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনাম আহমেদ/নাসিম