পীরগাছায় গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
রংপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
রংপুরের পীরগাছায় হাজেরা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর স্বামী সাহেব আলী ঘটনার পর থেকে পলাতক আছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাতে পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের গুঞ্জর খাঁ গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে হাজেরা বেগমকে পেটানো হয়। রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৩ আগস্ট) ভোরে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পারুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খাঁন ও কল্যাণী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাজেরা বেগম আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করছেন তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। তবে, হাজেরার ভাই ফজর আলী অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
তিন সন্তানের মা হাজেরা বেগম কল্যাণী ইউনিয়নের তালুক উপাসু গ্রামের মৃত হাকিম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের ভাই জানান, হাজেরার স্বামী কীটনাশক ব্যবসায়ী সাহেব আলী দীর্ঘদিন ধরে পরকিয়ায় আসক্ত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে বিবাদ চলছিল। গত বুধবার রাতেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাজেরা বেগমকে মারপিট করে সাহেব আলী। বৃহস্পতিবার রাতে আবারও বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া হলে হাজেরা বেগমকে বেদম মারপিট করে সাহেব আলী ও তার পরিবারের লোকজন। এতে হাজেরা বেগম অচেতন হয়ে পড়লে তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে রাত ২টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে কল্যাণী ও পারুল ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় মীমাংসার জন্য বৈঠক করা হলেও তা হয়নি। পরে পীরগাছা থানা পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মর্গে পাঠায়।
ফজর আলী বলেছেন, ‘আমার বোনের মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। হাজেরাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে তার স্বামীর পরিবার। আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আমিরুল/রফিক