সৈকতে ভেসে এলো নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ
কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলীর সায়মন পয়েন্টে ভেসে এলো নিখোঁজ মো. ইরফানুল ইসলামের লাশ। শনিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে সমুদ্রে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে পানির স্রোতে ভেসে যায় ইরফানুল ইসলাম (১৪)।
রোববার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের উপ-পরিদর্শক রুবেল মিয়া। নিহত ইরফানুল শহরের কালুর দোকান এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। সে বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির নবম শ্রেণীর ছাত্র।
পুলিশ ও বীর্চকর্মীরা জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই ছাত্র ভেসে যাওয়ার খবরে উদ্ধারে নামে তারা। সেসময় ওয়াহিদুল ইসলাম নামের একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা গেলেও ইরফানুল নিখোঁজ ছিল। তখন থেকে গেলো ২৪ ঘণ্টায় বেশি সময় নিখোঁজ থাকার পর রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে ভেসে আসে ইরফানুলের লাশ।
বীচকর্মী মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার বেশি পর ভেসে এসেছে স্কুলছাত্রের লাশ। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।'
উপ-পরিদর্শক রুবেল মিয়া বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে পরবর্তী কার্যক্রম শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।'
নিহত ইরফানুলের বড় আম্মু মাবিয়া খাতুন বলেন, ‘শনিবার বিকেলে ওয়াহিদ ও ইরফান সমুদ্রে গোসল করতে বাড়ি থেকে বের হয়। তারা দুজন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। সন্ধ্যা ৬টার দিকে খবর পাই সমুদ্রের পানিতে ভেসে যায় দুজন। তাদের মধ্যে ওয়াহিদ কূলে উঠে এলোও ইরফান নিখোঁজ ছিল। প্রায় ২৪ ঘন্টা পর আজ (রোববার) রাত ৮টার পর খবর পাই ইরফানের লাশ পাওয়া যায়। আমরা এখন লাশের ওখানে যাচ্ছি।’
তারেকুর/বকুল