ঢাকা     সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২২ ১৪৩১

জিনের বাদশার খপ্পড়ে পড়ার আগেই কিশোরী উদ্ধার

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৪ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৯:১৫, ২৪ আগস্ট ২০২১
জিনের বাদশার খপ্পড়ে পড়ার আগেই কিশোরী উদ্ধার

কথিত জিনের বাদশার খপ্পড়ে পড়ার আগেই এক কিশোরীকে (১৫) উদ্ধার করেছে বগুড়া পুলিশ। কিশোরী ময়মনসিংহ থেকে বাসে গাইবান্ধা যাচ্ছিল।

কিশোরীকে গত ২০ আগস্ট গভীর রাতে ফোনে গুপ্তধনের লোভ দেখিয়ে বলা হয়, তাকে গাইবান্ধা যেতে হবে। এ সময় তাকে ‘কথা না শুনলে পরিবারের ক্ষতি হবে’ বলে সাবধান করা হয়। গুপ্তধনের প্রলোভনে পড়ে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে সেই জিনের বাদশার প্ররোচনায় বাসে ময়মনসিংহ থেকে গাইবান্ধা যাচ্ছিল সেই কিশোরী। পথিমধ্যে একের পর এক তার মোবাইল নম্বরে ফোন আসে। কিন্তু সে কোনোবারই সঠিকভাবে কথা বলছিল না। এক পর্যায়ে তার পাশে বসা যাত্রীর সন্দেহ হয়। তিনি কৌশলে বগড়ুা পুলিশকে ঘটনা জানালে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া কিশোরীর বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার দিউগ্রামে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা করা যাত্রী বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান প্রফেসর রমজান আলী আকন্দ।

রমজান আলী ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আজ (২৪ আগস্ট) ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেই সূত্রে জানা যায়, রংপুরগামী বাহন পরিবহনে তার পাশের সিটের যাত্রী ছিল মেয়েটি। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে আসার পর মেয়েটি জানতে চায় পলাশবাড়ী যেতে কত সময় লাগবে? পলাশবাড়ী কোথায় যাবে জানতে চাইলে মেয়েটি দুলাভাইয়ের বাড়ি যাওয়ার কথা জানায়। এর মধ্যে পরিবার থেকে মেয়েটির কাছে বারবার ফোন আসতে থাকে। কিন্তু মেয়েটি একেকবার একেক নামে পরিচয় দিতে থাকে। এতে রমজান আলীর সন্দেহ হয়। 

ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ থেকে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক ( এসআই) মেয়েটির নম্বরে ফোন দেয়। তখন রমজান আলী সেই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন মেয়েটি কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে। সন্দেহ প্রমাণিত হওয়ায় রমজান আলী বগুড়া জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা তাকে মেয়েটির প্রতি লক্ষ্য রাখার পরামর্শ  দেয়। এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাস শাজাহানপুর পৌঁছালে পুলিশ মেয়েটিকে বাস থেকে নামিয়ে থানা হেফাজতে নেয়।

মেয়েটি পুলিশকে জানায়, গত ২০ আগস্ট রাত ৩টায় জিনের বাদশা পরিচয়ে তাকে ফোন করা হয়। এরপর তাকে গুপ্তধনের প্রলোভন দেখিয়ে একা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ আসতে বলা হয়। জিনের বাদশার কথামত একা না এলে পরিবারে বড় ধরনের ক্ষতি হবে বলা হলে সে একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। 

শাজাহানপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নান্নু খান জানান, মেয়েটিকে পুলিশ হেফাজতে রেখে তার জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। রাত দেড়টায় মেয়েটির বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা থানায় এলে রাতেই তাকে তাদের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।  

এনাম/তারা


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়