এবার হুইলচেয়ারে স্কুলে যেতে পারবে কামাল
নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

দীর্ঘ ৯ বছর বাবা-মায়ের কোলে স্কুলে যাওয়ার পর এবার একাই হুইলচেয়ারে চড়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারবে শারিরীক প্রতিবন্ধি কামাল (১৭)।
গত ২২ আগস্ট জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিডটকমে ‘হুইল চেয়ারে বসে স্কুলে যেতে চায় কামাল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
সেই সংবাদ নজরে আসার পর নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক সহৃদয় ব্যক্তি একটি হুইল চেয়ার কিনে রাইজিংবিডির নীলফামারী প্রতিনিধি ইয়াছিন মোহাম্মদ সিথুনের কাছে পাঠিয়ে দেন।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাইজিংবিডির নীলফামারী প্রতিনিধি সিথুন, ডোমার অক্সিজেন ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবক তোসাদ্দেক হোসেন অপু, রাসেল ইসলাম, পিয়াল সাহা কামালের বাড়িতে গিয়ে হুইল চেয়ারটি পৌঁছে দেন। হুইলচেয়ার পেয়ে কামাল ও তার পরিবার খুব খুশি।
কামাল উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বোড়াগাড়ী সবুজপাড়া গ্রামের মো. আফছার আলী ও করিমুন বেগম দম্পতির বড় ছেলে। সে বাড়ির এক কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থানরত পশ্চিম বোড়াগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
কামাল বলেন, ‘এতদিন বাবা-মায়ের কোলে করে স্কুলে যেতাম। আজ হুইল চেয়ার পেলাম। এখন আর আমার বাবা-মাকে আমাকে কোলে নিয়ে কষ্ট করতে হবে না। আমি নিজেই চলাফেরা করতে পারবো। খুবই ভালো লাগছে।’
কামালের মা করিমুন বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ছেলেটিকে হুইলচেয়ার কিনে দিতে পারিনি। যে মানুষ আমার ছেলেকে হুইলচেয়ার দিয়েছে, আল্লাহ তার ভালো করবেন।’
স্থানীয় শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বাবু জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কামাল আমার ছাত্র ছিল। শত প্রতিকূলতায়ও কামাল পড়াশোনা চালিয়ে গেছে। সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন জন কামালকে সহায়তা করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ফিরোজুল ইসলাম জানান, সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানরা এভাবে এগিয়ে এলে অসহায় মানুষের কষ্ট অনেক কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, জন্মের পর কামাল ভালো ছিল। দুই বছর পর একদিন হঠাৎ কামালের শরীরে জ্বর আসে। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরও জ্বর কমেনি। পরে তার হাত-পা বাঁকা হয়ে যায়।
সিথুন/সনি