ঢাকা     বুধবার   ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৪ ১৪৩১

নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জে ৮ কিলোমিটার এলাকা বিলীন

জাহিদুল হক চন্দন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১০:৪১, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১
নদী ভাঙনে মানিকগঞ্জে ৮ কিলোমিটার এলাকা বিলীন

রোববার মধ্য রাতে পদ্মা ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মানিকগঞ্জে পদ্মা-যমুনার সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ নদী কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, গাজীখালি ও ইছামতী নদীর পানিও বাড়ছে। এতে করে এসব নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনও বেড়েছে। চলতি বছর নদী ভাঙনে জেলার ৮ কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চলতি বছর দৌলতপুর উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী বাঁচামার এলাকার ১ হাজার মিটার, শিবালয় উপজেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী অন্বয়পুর,কাশাদহ এলাকার ১ হাজার দুইশো মিটার ও নেহালপুর এলাকার সাতশো মিটার, হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী ধূলশুরা এলাকার ১ হাজার মিটার, কাঞ্চনপুর এলাকার ১ হাজার দুইশো মিটার, ঘিওর উপজেলার পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী কুস্তা এলাকার একশো মিটার, জাবরা এলাকার দুইশো মিটার, সিংগাইর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী জামসা এলাকার ১ হাজার দুইশো ৫০ মিটার এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কালীগঙ্গা নদীর তীরবর্তী কুশেরচর এলাকার ১ হাজার পাঁচশো মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন:

নদী ভাঙনে বিলীন হওয়া বিঘা বিঘা জমি

ঘিওর উপজেলার কুস্তা এলাকার রউফ মুন্সী বলেন  ‘নদী ভাঙনে শেষ সস্বল বসতভিটার একাংশ নদীতে চলে গেছে। কোনোরকমে ঘরের টিন খুলে অন্যত্র সরিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে এক আত্মীয়র জমিতে উঠেছি।’

হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, সম্প্রতি পদ্মার ভাঙনে আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়টি ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। তাদের সহযোগিতা করা হবে।

ভাঙনে কারণে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঘর-বাড়ি

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, চলতি বছর ভাঙনে ৮ দশমিক একশো ৮৫ কিলোমিটার নদী তীরবর্তী এলাকা বিলীন হয়ে গেছে।  জেলার ৫০ কিলোমিটার এলাকা নদীবর্তী হওয়ায় প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পরে। গুরুত্ব বিবেচনায় ১৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। বাকি ৩৬ দশমিক ২ কিলোমিটার এলাকায় পর্যায়ক্রমে বেড়িবাঁধ নির্মানসহ ভাঙন ঠেকাতে প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।

 

মানিকগঞ্জ/বুলাকী


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়